পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনী ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য। তবে এরই মধ্য দিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
অডিও ক্লিপটি তে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম রায় এর কথোপকথন। এই অডিও ক্লিপের ঘটনায় আজ ক্ষুব্দ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করছে।” এমনকি তিনি জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষও আর নিরাপদে নেই।”
অডিও ক্লিপ ভাইরাল হবার পর গতকাল তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি ওই বৈঠকে জানিয়েছেন, “আমাদের দল নেত্রীর সঙ্গে একজন দলীয় প্রার্থীর কথোপকথন এটা কিভাবে ট্যাপ করা হলো ? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শ কাতর বিষয়।” তিনি কেন্দ্র শাসকদলের উদ্দেশ্যে অভিযোগ তুলে বলেন, “কেন্দ্রের শাসকদল রাজ্যের যে কোন ব্যক্তির ফোন ট্যাপ করতে পারেন এবং যেকোনো বক্তব্যকে ট্যাপ করে রাজনৈতিক কাজে, ভোটের কাজে, সুবিধা পাওয়ার আশায়। যাতে এটাকে নোংরামির মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে।”

তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় আঙুল তুললেন গেরুয়া শিবিরের দিকেই। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল রেকর্ড হলো কিভাবে? এমনকি সেটাও আবার প্রকাশ্যে এলো কিভাবে? বিজেপি সরকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।
তবে তৃণমূল নেতার এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। কিছুদিন আগেই ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই অডিও ক্লিপে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও সিসির বাজোরিয়াকে কথোপকথন করতে শোনা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি। কোথায় পেয়েছিলেন কুনাল ঘোষ এই অডিও টেপটি ? পাল্টা তির তৃণমূলের দিকেই।
আরও পড়ুনঃ- “ডেড বডি রেখে দাও, ওগুলো নিয়ে র্যালি হবে” ফের বিস্ফোরক অডিও ক্লিপ ফাঁস মমতার
আজ পঞ্চম দফার ভোট কে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমান বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের গলসীর জনসভা থেকে সরাসরি তিনি অভিযোগ করলেন বিজেপি বিরুদ্ধে। এদিন তিনি বলেন, “বাড়িতে আপনারা কি রান্না করবেন, সেটাও এখন জেনে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। কারো কথা আর ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকবে না। এটা একটা বিরাট দুর্নীতি। এর শেষ দেখে আমি ছাড়বো। সিআইডি তদন্ত করে আমি সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরব।”