পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘর্ষের ছবি উঠে আসছে। বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমাবাজি বিস্ফোরণ, এমনকি বিজেপি কর্মীদের উপর মারধরের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা সংবাদের শিরোনাম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুহূর্তে। এরইমধ্যে আবার রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর অভিযোগ, “অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ এস দ্বিবেদীর কাছে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট চেয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি তা পাঠাননি।”
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা ও বিস্তারিত জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় মুখ্য সচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ রাজ্যপালকে ফোন করে খবর নিয়েছেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের থেকে রিপোর্ট তলব করেন। কিন্তু রাজ্যপালের অভিযোগ, “সেই রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত রাজ্য ভবনে জমা পড়েনি।”
রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর টুইটে, “কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে রিপোর্ট দিয়েছেন তা তিনি রাজ্য ভবনে পাঠাননি। তিনি তার কর্তব্য পালন করেননি,” বলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।
পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে ৫ বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে ঘাসফুল শিবির। কয়েকশো বিজেপি কর্মীকে জখম করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি, দোকান লুট-পাট এমনকি মহিলাদের শ্লীলতাহানি, কিছুই বাদ যাচ্ছেনা বলে দাবি পদ্ম শিবিরের।
রাজ্যপাল প্রথম টুইট করে বলেছেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মমতা সরকারের ত্রুটি।” তবে পরবর্তীতে আরেকটি টুইট করে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “রাজ্য সরকারের শাসনকালে এধরণের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা কোনদিনও উপেক্ষা করা যায় না। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। কিন্তু এই হিংসা নিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে কোনও রিপোর্টই নেই। এসব মেনে নেওয়া যায় না।”
Such drifting of governance @MamataOfficial from constitutional prescriptions is unfortunate and cannot be overlooked. While the State passes through most severe post poll violence, there is just NO input to the constitutional head. This is least expected.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 8, 2021