পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় কোভিড ঔষধ-এর সংকট দেখা দিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। তবে সেই সংকট কিছুটা দূর হয়েছে। তবে এবার কিছুটা হলেও গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের চেয়ে সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী।
বেশ কয়েকদিন আগে গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা চার লক্ষ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ছিল। তবে এবার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা হলেও নিচে নেমেছে। মহামারি করোনা ভাইরাস-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে অল্প বয়সের তরুণ-এরা। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের তরুণেরাই বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তবে দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের রাশ টানতে সক্ষম হলেও, এবার দরজায় এসে কড়া নাড়ছে অতিমারি করোনার তৃতীয় ঢেউ।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে বেশিরভাগ সংক্রমিত হয়েছিল বয়স্ক মানুষেরা। এরপরই করোনার দ্বিতীয় হানায় বেশিরভাগ সংক্রমিত হচ্ছে অল্প বয়সের তরুণেরা। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই হানা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমিত হতে পারে অল্প বয়সী শিশুরা অর্থাৎ ২ থেকে ৩ বছরের শিশুদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ। বর্তমানে দেশজুড়ে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে নাগরিকদের টিকাকরণ করা হচ্ছে। তবে আগে থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সচেতন করেছেন কেন্দ্র সরকারকে। তিনি জানিয়েছেন, সবার আগে শিশুদেরকে বাঁচানো দরকার।
এবার শিশুদেরকে টিকাকরণ করা হবে বলে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তার জন্য আগামী জুন মাস থেকে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক তথা কো-ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। এতদিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের করোনা টিকা যোগান দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে এবার শিশুদের টিকাকরন করার উদ্দেশ্যেই তৎপর হয়েছে ভারত বায়োটেক।
আরও পড়ুনঃ ইয়াস মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে রাজ্য সরকারকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারত বায়োটেক-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুন মাস থেকে শিশুদের করোনা টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে। তবে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করা হবে দিল্লির এইমস হাসপাতাল সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। ভারত বায়োটেক এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দু বছর বয়সী শিশুদের উপরেই করা হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দ্রুত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে শুরু করা যাবে, ততো দ্রুত শিশুদের সংক্রমণ থেকে বাঁচানো যাবে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস এর থার্ড ওয়েভ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে থার্ড ওয়েভ এর জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজস্থান।