পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– সরকারি চাকরির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পর্দা ফাঁস হচ্ছে একের পর এক তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতাদের। কখনো বা এসএসসি কখনো বা গ্রুপ ডি, চাকরি যাচ্ছে বহু ভুঁয়ো চাকুরি কর্তাদের। ঠিক এমন সময় বাঁকুড়া জেলার পুলিশ প্রশাসনের নেওয়া একটি নয়া উদ্যোগে বিতর্কের ঝড় তুলল বিরোধী দলেরা। এবার নাকি স্কুলে স্কুলে অংক ও ইংরেজি পড়াবে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর এটি শুনেই সমালোচনার ঝড় উঠলো বিরোধীদল গুলির মধ্যে।
একের পর এক প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়গুলি ছাত্র-ছাত্রীহীন হয়ে পড়ছে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে। বন্ধ হতে চলেছে বহু সরকারি স্কুল। অভিভাবকদের দাবি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার না থাকায় পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। এক্ষেত্রে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মত – সরকার ইচ্ছে করে সরকারি স্কুলগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছে। এদিকে স্কুলে স্কুলে রয়েছে বহু শূন্য পদ। অপরদিকে ছাঁটাই করা হচ্ছে ভুঁয়ো শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য পদের অধিকর্তাদের।
তৃণমূলের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনো জেলে। শিক্ষাক্ষেত্রেই ধরা পড়ছে একের পর এক ভুঁয়ো মানুষজন। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থার ভীত দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। পড়ুয়ারা হারিয়ে ফেলছে স্কুলে যাওয়ার তাগিদ। তাই বাঁকুড়া জেলার মাওবাদী প্রভাবিত পাঁচটি থানার অন্তর্গত প্রত্যেকটি এলাকায় বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল। যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সিভিক ভলেন্টিয়াররা স্কুলে স্কুলে গিয়ে অংক এবং ইংরেজি শেখাবেন ছাত্রছাত্রীদের। এই নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অঙ্কুর’।
একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র বাঁকুড়ার অন্তর্গত প্রায় ৮০০ এর বেশি প্রাথমিক সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩০ বা তারও কম। তবে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার এই নয়া প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে বলেছেন, এটি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় লজ্জার যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা গিয়ে ক্লাসে অংক ও ইংরেজি শেখাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নাই চালাতে পারছেন তার রাজ্য, তবে তার পক্ষে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়।