পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে ঘিরে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে নতুন সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজ্যের মুখ্যসচিব নন। গত সোমবার তিনি মুখ্য সচিব পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হয়েছেন।
গত ২৮ শে মে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে বদলির উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠায় কেন্দ্র সরকার। ৩০ শে মে অর্থাৎ গত সোমবার সকাল দশটার মধ্যে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মী বর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে ছাড়তে রাজি হননি। যার কারণেই কেন্দ্র সরকারের কাছে চিঠি লিখে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
তবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাননি। বরঞ্চ তিনি রাজ্যই রয়েছেন। তবে তিনি তাঁর কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা।
তবে প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে তার কাছে। কেন্দ্র সরকার এই শোকজ করায় তার সঠিক উত্তর প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দেবেন বলে জানিয়েছেন।
নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, সঠিক সময়ে জবাবের উত্তর পাঠানো হবে দিল্লিতে। তবে সেই চিঠিতে উল্লেখ থাকবে প্রাক্তন মুখ্য সচিব কোন প্রকার নীতি লংঘন করেননি বা কোন অকর্তব্য করেননি। শোকজ করায় কেন্দ্রের সঙ্গে আর কোনো সংঘাত নয় বরঞ্চ সতর্কভাবেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দেবেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি রয়েছেন আশীষ কুমার সিং। গত শুক্রবার কলাইকুন্ডা তে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিত থাকার কারণে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ নম্বর বিধি ধারা ভঙ্গ করেছেন বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আইন ভঙ্গ করার পরও কেন তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে না, সে ব্যাপারেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন আশীষ কুমার সিং।
তবে ওই চিঠিতে অবসরপ্রাপ্ত এক আমলাকে আইনের ধারা উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতে করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সংঘাত আরো জোরালো হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।