পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারী করোনার জেরে পড়ুয়াদের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস চালু করা হলেও। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের কাছে অনলাইন ক্লাস করবার মতো স্মার্টফোন বা ট্যাব ছিল না।
অনলাইন ক্লাস চলাকালীন অনেক ছাত্র-ছাত্রী অনলাইন ক্লাস করতে পারত না স্মার্টফোন বা ট্যাবের জন্য। অনলাইন ক্লাস নিয়েও বিতর্কের ডানা বেঁধেছে বহুবার। অনলাইন ক্লাসের কথা মাথায় রেখে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২১, রাজ্য সরকার স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য সমস্ত দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ১০,০০০ টাকা করে তাদের ব্যাংক একাউন্টে দিয়েছে।
এবার কড়া পদক্ষেপ নিল সমগ্র শিক্ষা মিশন। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কেনার জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে স্মার্টফোন বা ট্যাব কিনেছে কিনা সে বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা মিশনের। চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে উপযুক্ত বিল চেয়ে নিয়ে স্কুলে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার টাকা পাওয়ার পর। অনেকে তা না কিনে নকল বিল তৈরি করে জমা দিচ্ছে বলে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে। এমন জালিয়াতি আটকাতে সমস্ত স্কুল পড়ুয়াদেরকে বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করল শিক্ষা দপ্তর। এই নির্দেশ জারি হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে।
ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী এবং শিক্ষাশ্রী-র টাকা যেমন সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে এসে পৌঁছায়। তেমনি স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার টাকা পৌঁছে গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে। ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী এবং শিক্ষাশ্রী অনুদান গুলির হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুলের কোন দায়িত্ব থাকে না। তেমনি এই অনুদানের হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুলের কোন দায়িত্ব থাকে না। এমনটাই জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।
এছাড়াও জানিয়েছেন, সরকার ও পড়ুয়াদের মধ্যে সরাসরি টাকা আদান প্রদান হয়েছে। স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার বিল অরিজিনাল না নকল সেটা যাচাই করা অসম্ভব ব্যাপার। এছাড়াও ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার বিল আসল না নকল সেটা যাচাই করার উপায় স্কুল প্রধানের নেই।
আর তাছাড়াও অরিজিনাল বিল দিতে নারাজ পড়ুয়ারা। কারণ স্মার্টফোন বা ট্যাব কিছু হয়ে গেলে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গেলে অরিজিনাল বিল লাগবে। আর তাছাড়াও স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার টাকা পাওয়ার পর অনেকে বিল জমা দিচ্ছে না এবং বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগও করছে না। এ বিষয়ে কি নির্দেশ দেবেন ? এমনটাই জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।