পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা আবহের মধ্য দিয়েই বঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন ভোট। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অতিমারি করোনার প্রভাব ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। তবে ভোট আবহের মধ্যে দিয়ে বঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও করোনা বিধির প্রতি উদাসীনতা রাজ্যের। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এবার আঙ্গুল উঠছে প্রশাসনের দিকেই। আজ অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে। এরই মধ্যে মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রেও আজ বিধানসভা নির্বাচনী ভোট হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭০ নম্বর বুথে ভোটের ডিউটি পড়ে এক আশাকর্মীর। ভোটের দায়িত্বে থাকা ঐ আশাকর্মী করোনা আক্রান্ত। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকাজুড়ে।
ওই আশাকর্মীর বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এছাড়াও তার শরীরে করনা আক্রান্তের বিশেষ উপসর্গ লক্ষ্য করছিলেন। এজন্যই তিনি গত ২৪ শে এপ্রিল মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কোভিড টেস্ট করান। ২৬ তারিখ রিপোর্ট হাতে পান তিনি। ফলস্বরূপ তার কোভিড পজিটিভ আসে। সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার ১৪ বছরের ছেলেও। এরই মধ্যে ২৯ শে এপ্রিল অর্থাৎ আজ ভোটের ডিউটি পরে ওই আশাকর্মীর।
ওই আশাকর্মির অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বিএমওএইচ কে জানিয়েছিলেন তিনি কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। পাল্টা বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয় তাকে। বাধ্য হয়েই তাকে ভোট কেন্দ্রে আসতে হয়।
আশাকর্মী জানিয়েছেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে চাননি তিনি। তিনি যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সেই খবর ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারীকদেরকেও জানান। তবে তার কথা কেউ শোনেননি। পাল্টা হুমকির মুখে পড়তে হয় তাকে। তাসত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই বসে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে শো-কজ করা হয়।
শেষপর্যন্ত উপায় না পেয়ে বিএমওএইচ এর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনাটি বলেন। কিন্তু তারা তার কথা শুনলেন না। বরঞ্চ তাকে নিয়ে উপহাস করেন। ফের বিডিওর কাছে গেলেও কোন প্রকার লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হলেন করোনা আক্রান্ত আশাকর্মী। বুথের ভিতরে দীর্ঘক্ষন কাজও করেন তিনি।
বেলা গড়াতেই শুরু হয়ে যায় শোরগোল। বেলা বারোটা নাগাদ বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই ভোটকেন্দ্রে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে জনগণ।