পশ্চিমবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ- সালটা ছিল ২০১৯। করোনার কারণে ভয়ংকর পরিস্থিতির আকার ধারণ করেছিল সর্বত্র। চিন থেকে উদ্ভব হয়েছিল এই অতিমারি করোনা। যার ফলে ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের, মৃত্যু হয়েছে অগণিত মানুষের। তবে বর্তমানে সেই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে আশার আলো দেখছিল সকলে। কিন্তু তার মধ্যে আবারো সেই চিন থেকে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারনে ফের দুশ্চিন্তায় সারা বিশ্ব। তবে পশ্চিমবঙ্গে সেই ভয়াবহতা যাতে আবার সৃষ্টি না হয় তার জন্য মমতা ব্যানার্জি কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ জারি করলেন নাবান্ন থেকে।
দরজায় কড়া নেড়েছে শীত। আর এই শীতকালেই দাপট বাড়ে অতিমারি করোনার। তাই শীত পড়তে না পড়তেই চিনের বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। ফলস্বরূপ, চিন্তায় রয়েছে মন্ত্রীসহ সাধারণ আমজনতা। তাই সেই চরম পরিস্থিতির শিকার বাংলা যাতে না হয় তার জন্য গত বুধবার এক আলোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারি করার নির্দেশ জারি করলেন।
অতিমারি করোনা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ায় চারিদিকে দেখা গিয়েছিল হাহাকার। পাওয়া যাচ্ছিল না বেড চারিদিকে হাজার হাজার সংক্রমণ। চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রীরাও। তাই বর্তমানে সেই বিপর্যয়তা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বাংলা। আর তারই মাঝে আবারও ভয় ধরাচ্ছে করোনা। চিনে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর তার প্রভাব যাতে বাংলায় না পড়ে তার জন্যই গঙ্গাসাগরের মেলা নিয়ে আলোচনা করার সময় রাজ্যে আগাম সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই কমিটিতে থাকবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তার সাথে তাদের প্রধান হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিব। এমনকি তারা জানিয়েছেন, দেশের এবং রাজ্যের পরিস্থিতি লক্ষ্য করে নিয়মাবলী তৈরি করবে এই কমিটি।