পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারী করোনাভাইরাস এর রাশ টানতে মরিয়া হয়ে পড়েছে গোটা দেশ সহ রাজ্য। গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ রাজ্যে করোনা গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে বর্তমানে রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলাকালীন দৈনিক করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী।
কার্যত রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণার পূর্বে রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দিন প্রতি ২১ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল। তা ইতিমধ্যেই কমে দিন প্রতি ১০ হাজারের ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ কমার সাথে সাথে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন এবং সংক্রমণ কমার সাথে সাথে সুস্থতার হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ রোগ করোনাভাইরাস-কে পরাজয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৮৫৬ জন। বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৭৭ জন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ মারণ রোগ করোনা সংক্রমণ হুহু করে বেড়ে চলেছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ ব্যাপক হারে কমেছে। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মারণ রোগ করোনাভাইরাস তার সংক্রমনের দাপট হারাচ্ছে। তবে দৈনিক সংক্রমনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত রবিবার ও সোমবার করোনা সংক্রমনের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে।
বর্তমানে করোনা সংক্রমনের চেয়ে সুস্থতার হার কিছুটা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯২.৩০ শতাংশ। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা করেছে ৫৮ হাজার ৮৪৩ জন। গত সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৭৭ জন মানুষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ১,৩২৪ জন এবং মারন রোগ করোনা ভাইরাস-কে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৫১৪ জন। করোনা ভাইরাস এর জেরে কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়াও করোনা সংক্রমনের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। বর্তমানে আগের পরিস্থিতি বজায় আছে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষস্থানে আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়াও সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতায় এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সাধারণ নাগরিকদের চূড়ান্ত সর্তকতা মেনে চলা উচিত।