পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সর্বপ্রথম লক্ষ্য করা যায় চীনে। ২০১৯ সালে চীনের উহান শহরে প্রথম বার অজানা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তবে তখনও পর্যন্ত অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তেমন কোনো ভয়-ভীতি যোগায়নি। তখন এই অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল চীন সরকার। তবুও রক্ষা করা গেল না, হু হু করে বাড়তে বাড়তে শুরু করেছিল করোনা আক্রমণের সংখ্যা।
চীনের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, তা ফের বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় দুই বছর পর ফের করোনায় মৃত্যু ঘটলো চিনে। জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর শেষ বারের জন্য শোনা গিয়েছিলো চিনে।
তারপর আর কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই করোনার নতুন সংক্রমনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে চিনে। যার প্রভাবে জিলিন প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, করোনার নতুন ঢেউয়ের ইঙ্গিত পেয়েছেন চিন বিশেষজ্ঞরা। নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করা নিয়ে ভাবছে চীন।
শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৭ জন মানুষ। যার মধ্যে চীনের জিলিন প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। জিলিন প্রদেশের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে চিনের জিলিন প্রদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনার এই নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কোভিড বিধির পথে হাঁটতে চলেছে চীন সরকার।
তবে এবার নয়া রণকৌশল। করোনা সংক্রমণ এর জেরে বারবার লকডাউন এর ফলে চীনের অর্থনীতিতে কুপ্রভাব পড়ছে। যার ফলে এবার নয়া নিয়ম আনতে চলেছে চীন সরকার। শি জিনপিং জানিয়েছেন, মানুষের জীবনে যাতে কোনো রকম প্রভাব না পড়ে, তার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা করতে হবে এবং টিকা দেওয়ার গতি বাড়াতে হবে। তবে এই সংক্রমণ চীন থেকে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়বে কিনা, তা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা!