পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের রাশ টানতে মরিয়া গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় রুখে দাঁড়াতে একটি মাত্র পথ বেছে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গেলে টিকাকরণ করাই একমাত্র পথ।
তবে রাজ্য ও দেশজুড়ে করোনা টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ১৮ বছরের উপরের নাগরিকদের টিকাকরণ। তবে করোনা ভ্যাকসিনের সংকট থাকায় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ হচ্ছে অর্থাৎ টিকাকরণ হচ্ছে ৪৫ বছরের উপরের নাগরিকদের। তবু লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে না টিকা। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন নেই রাজ্যে, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই এবার টিকা চুরির ঘটনা উঠে আসলো পশ্চিম মেদিনিপুর শালবনি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল থেকে। জানা গিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন গুলি সক্রিয় রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। সেই জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ গুলি হাসপাতালে রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল। তবে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে রেফ্রিজারেটরের থেকে কোভিড ভ্যাকসিন গুলি আনতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ হাসপাতাল কর্মীর।
আরও পড়ুনঃ আজকের মত নারদা মামলার শুনানি শেষ, আপাতত চার নেতা থাকবেন জেল হেফাজতে
রেফ্রিজারেটরে রাখা কোভিড ভ্যাকসিন গুলি সোমবার রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারে রেফ্রিজারেটরে রাখা কোভিড ভ্যাকসিন উধাও। আশেপাশের সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া গেল না। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের শালবনী সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল থেকে ১৬ টি ভায়াল চুরি হয়ে গিয়েছে। যার একটি ভায়াল থেকে ১০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব। ১৬ টি ভায়াল চুরি গেছে ওই ১৬ টি ভায়াল থেকে প্রায় ১৬০ জনকে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হতো বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই ঘটনায় হাসপাতালে সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “হাসপাতালে একটি খারাপ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আর এর জন্য যেখানে জানানোর প্রয়োজন, সেখানে জানানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।”
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়াঃ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি, জানালা আবহাওয়া দপ্তর
চুরির ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ প্রশাসনকে খবর দেয়। এরপরই পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। তবে যে ঘরে রেফ্রিজারেটরে রাখা ছিল, সেই ঘরে একটিও সিসি ক্যামেরা না থাকায় তদন্তে নেমে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে পুলিশ কর্মীদের। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পেছনে নিশ্চয়ই হাসপাতালের কোনো কর্মীর হাত রয়েছে। যার সাহায্য নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পেরে সুযোগ বুঝে ভ্যাকসিন গুলি নিয়ে পালিয়েছে চোর। তবে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে।