পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারী করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। দেশের পাশাপাশি আমাদের এ রাজ্যে চলছে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া। তবে ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রগুলিতে জমছে ভিড়, তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি স্থানে কুপন এর মাধ্যমে করোনা টিকা করন করা হবে। কুপন দেখালেই মিলবে করোনা টিকা। রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই ইতিমধ্যে নবান্নের তরফ থেকে এই নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায় আটটি নির্দেশ উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার।
জানিয়ে রাখি, নবান্নের দেওয়া এই নির্দেশগুলি আগে থেকেই পালন করে আসছিল কলকাতা পৌরসভা। কুপনের মাধ্যমেই কলকাতা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হচ্ছিল ভ্যাকসিন। তবে এবার কলকাতা পৌরসভার দেখানো পথ ধরেই হাঁটতে হবে রাজ্যের সব জেলা গুলিকে। নবান্ন থেকে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
১. প্রতিটি গ্রামের স্কুলগুলিতে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। তবে স্কুল বিল্ডিং ও বড় মাঠ যেন ওই স্থানে থাকে তা আগে থেকে খতিয়ে দেখতে হবে।
২. ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম গুলিতে প্রচুর মানুষের জমায়েত হচ্ছে। ওই নির্দেশিকায় জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে।
৩. স্বাস্থ্য দপ্তর বা আশা কর্মীদের মাধ্যমে কুপন বিলি করা হবে। প্রত্যেকটি মানুষকে ওই কুপন সংগ্রহ করতে হবে।
৪. যে সকল ব্যক্তির কাছে কুপন থাকবে তারাই শুধুমাত্র ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে।
৫. যে সকল ব্যক্তিরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার দুই থেকে এক দিন আগে কুপন সংগ্রহ করতে হবে।
৬. এডিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি স্বাস্থ্য অধিকারীকদেরকে নিয়ে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প গুলির উপর অতিরিক্ত নজরদারি রাখা ও টাক্সফোর্স গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
৭. যেসকল কেন্দ্রগুলিতে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প বসানো হবে।সেই কেন্দ্রগুলি যে থানার আয়ত্তে থাকবে, সেই থানার অফিসারদেরকে ক্যাম্পের কথা জানাতে হবে। যাতে করে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের সঠিক স্থান পুলিশ আধিকারিকরাও জানতে পারেন।
৮. প্রতিটি বুধ ভিত্তিক যেমন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসানো হচ্ছে, ঠিক তেমনি বুধ ভিত্তিক ভ্যাকসিন ক্যাম্প বসানো যাবে কিনা তা চিহ্নিত করতে হবে। প্রতিটি বুথে বুথে গিয়ে ভ্যাকসিনেশন করা হলে মানুষের জমায়েত অনেকটাই কম হবে বলে জানাচ্ছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ- কলকাতার রাস্তায় অ্যাসিড হামলা, আক্রান্ত চার মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমে