ওয়েব ডেস্কঃ- করোনার ফাইজার ভ্যাকসিন এবার বড়সড় প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। নরওয়েতে এই ভ্যাকসিনের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন মানুষের। যদিও ভারতে এই ভাক্সিনের ব্যবহার করা হবে না। তবে বিশ্বব্যাপী এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে বহু দেশ, বিশেষত ইউরোপীয় দেশে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার করা হচ্ছে সবথেকে বেশি।
নরওয়ে এর অফিসিয়ালদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে “ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পাওয়ার পরে অল্প সময়ের মধ্যে দেশে ২৩ জন মারা গিয়েছেন।” নরওয়েজিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি অনুসারে, এই মৃত্যুর মধ্যে ১৩ জনকে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, ফলাফলগুলি প্রমাণ করেছে যে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি প্রবীণদের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে। অর্থাৎ বেশি বয়স্ক মানুষের জন্য এই ভাইরাসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিপদজনক হতে পারে।
নরওয়েজিয়ান পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট বলেছে “সবচেয়ে গুরুতর দুর্বল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এমনকি তুলনামূলকভাবে ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মারাত্মক পরিণতি ঘটতে পারে।”
অন্যদিকে ভারতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যেই দুটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল – ১) কোভিশিল্ড ২) কো-ভাক্সিন। ভারতে ফাইজার ভ্যাকসিনের ব্যবহার করা হবে না আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। প্রথম দিনের টিকাকরন এর শেষে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো দুঃসংবাদ পাওয়া যায়নি। তাই ভারতীয়দের কাছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দুটি অনুমোদন করা ভ্যাকসিন নিয়ে কোন ভয় থাকার কারণ এখনও নেই।