পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্ক:- সারা ভারতজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জনজীবন। করোনা সংক্রমনের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ার সাথে সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভাব হয়েছে লিকুইড অক্সিজেন এবং করোনার বিভিন্ন ওষুধের। ঠিক এই সময়ে জনজীবনকে আবার সাধারণ স্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে একমাত্র পথ দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভ্যাকসিনেশন। এখানেই আশার আলো দেখাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘Johnson & Johnson’ ভ্যাকসিন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তরফ থেকে তিনটি ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে শ্রীরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেক এর কো-ভ্যাকসিন এবং রাশিয়ান স্পুটনিক ভি। তবে তিনটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত সংস্থাকে নিয়েও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে ভারতের কাছে নতুন আশার আলো হয়ে উঠতে পারে মার্কিন ভ্যাকসিন ‘Johnson & Johnson’।
‘Johnson & Johnson’ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ভারতে যদি এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’ সফল হয় তাহলে সারা ভারত জুড়ে এই সিঙ্গেল শট ভ্যাকসিনের দৌলতে ভারত সরকারের আশানুরূপ গতিতে ভ্যাক্সিনেশন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে চিকিৎসকরা। কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের করা হবে এই ভাইরাসের ট্রায়াল।
যেভাবে প্রতিদিন ভারতে করোনার সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে সম্পূর্ণ দেশে ফের লকডাউন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না সরকারের কাছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে খুব শিগ্রই আছড়ে পড়তে চলেছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ। যদি তাই সত্যি হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সারাদেশে লকডাউন হবে সরকারের কাছে একমাত্র পথ।
যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনেশন করতে হবে বেশির ভাগ মানুষের। যাতে লকডাউন এর দরকার না হয়। লকডাউন হলে কাজ হারাবেন প্রচুর মানুষ। ক্ষতি হবে দেশের অর্থনীতিতে। তাই এই সময় আশার আলো মার্কিন ভ্যাকসিন ‘Johnson & Johnson’।