ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণিঝড় মান্দাস, আজকের আবহাওয়া, আগামীকালের আবহাওয়া, আগামীকালের আবহাওয়ার খবর, cyclone, cyclone mandous
প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাস ! কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া ? | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবতের জেরে বাংলায় সপ্তাহে শেষের দিকে ফের উষ্ণতার পারদ চড়তে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। যদিও গত দুদিন ধরে কলকাতা ও তার আশেপাশের জেলাগুলিতে সকাল এবং সন্ধ্যাবেলায় তাপমাত্রা পারদ বেশ ভালই নিম্নগামী ছিল। তবে আগামী শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। ঘূর্ণাবতের জেরে তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হলেও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।

গতকালের মতো আজও কলকাতার আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে। সেই সঙ্গে শুস্ক আবহাওয়ায় সকাল এবং সন্ধ্যাতেই শীত বেশি তীব্র হবে। আজ সারাদিন ধরেই উত্তরে হওয়া বইবে। আজ সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। বাতাসে সর্বাধিক জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৪৮ শতাংশ।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে রওনা হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরির দিকে ধাবিত হয়ে সেখানকার উপকূলে আছে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌসম ভবন। এছাড়া এবারের এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে মান্দাস।

তবে আবহাওয়াবিদদের ধারণা ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরি উপকূলের দিকে রওনা হলেও এটি স্থলভাগে আছড়ে নাও পড়তে পারে। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন যে এটি স্থলভাগে পৌঁছানোর আগেই শক্তি হারানোর সম্ভবনা আছে। সেক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। স্থলভাগের কাছাকাছি এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজ বুধবার সেখানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি সাথে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে।