ঢাকা, ২৫ শে অক্টোবর ২০২২ঃ আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল রাতে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বর্তমানে বড় বিপর্যয়ের মুখে ওপার বাংলা। সোমবার মাঝ রাতে বাংলাদেশ উপকূলবর্তী অঞ্চলে তান্ডব দেখাতে শুরু করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে পুরোপুরি ভাবে কেটে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং -এর প্রভাব।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ জুড়ে। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যে ৬ টা নাগাদ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে। এরপর রাত যত গভীর হতে থাকে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার তান্ডব দেখাতে শুরু করে। প্রবাল বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া সবকিছু তছনছ করতে শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমে নড়াইল জেলায় তান্ডব শুরু করে। এরপর বরগুনা, ভোলা উপজেলাতেও তান্ডব দেখাতে শুরু করে এই ঘূর্ণিঝড়।
Cyclone #Sitrang
Bangladesh pic.twitter.com/Hs9Rot7KLt
— Earth & beyond (@umadevipavuluri) October 24, 2022
এছাড়াও খবর পাওয়া গিয়েছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। অন্যদিকে দুর্যোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছিল নৌকা, সেই নৌকাডুবিতেও মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। তবে সবচেয়ে প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। প্রশাসন সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার শক্তি হারায়। বর্তমানে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার গতি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ওপার বাংলায় চলছে টানা বৃষ্টি। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে রাজধানী শহরে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ সকালে দুর্যোগ কিছুটা কেটে যাওয়ায় নদীগুলোতে নৌকা চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ বিকেল পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি।
First time seeing continuous heavy rain with strong wind in Dhaka. I wonder what's the situation in coastal areas where the cyclone is actually hitting. May Allah protect them#CycloneSitrang #Bangladesh pic.twitter.com/XoPaZF75Zc
— ajijurnotsodeep (@AjijurR84590395) October 24, 2022
এই ভয়াবহ দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বজন হারা মানুষজনদেরকে খুব দ্রুত আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এর কারনে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। দুর্যোগ পুরোপুরি ভাবে কাটলে তবেই ক্ষয়ক্ষতির মোট ক্ষতিয়ান জানা যাবে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।