পশ্চিমবঙ্গের ডিজিটাল ডেস্কঃ- আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। সেখানে এখন তালিবানের রাজ চলছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা চোখে পড়েছে আফগানি নাগরিকদের করুণ দৃশ্য।
আফগানিস্থানের অবস্থা নিয়ে এবার কড়া গলায় বক্তব্য রাখল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন জানান, দিনের পর দিন তালিবানিদের আশ্রয় প্রদান করেছে পাকিস্তান। শুধুমাত্র তালিবান নয়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিরাও আশ্রয় পেয়েছে সেখানে।
তিনি আরো জানান, আফগানিস্তানে ভারতের একটি বড় ভূমিকা ছিল। তাই তাদের বিরোধিতা করতে অনেক ক্ষতিকারক কাজের মধ্যে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান। তার দাবি, আফগানিস্তানে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কোনদিনই ভালো চোখে দেখেনি পাকিস্তান। কাজেই তারা ভারতের ভূমিকা সেখান থেকে নিশ্বেস করার জন্য নানারকম ক্ষতিকারক কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন তালিবানরা পাকিস্তানের আচ্ছাদনে ছিল।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানান, পাকিস্তান এখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। একদিকে তারা তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, এবং অন্যদিকে সন্ত্রাস হ্রাসের জন্য আমেরিকার সঙ্গে একমত হওয়ার কথা বলছে। পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার বিশেষ কিছু বক্তব্য পরিষ্কার করা দরকার।
শুধুমাত্র মার্কিন বিদেশমন্ত্রী নন, আমেরিকার সাংসদ বিল কিটিং বলেন, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্ত হলো আফগানিস্তান।
কাবুলে তালিবানি প্রবেশ করেছে প্রায় এক মাস হল। আফগানিস্তান পুরোপুরি তালিবানি সরকারের হাতে আসতে চলেছে কিছুদিনের মধ্যে। আফগানিস্তানে তালিবানি সরকার গঠনের ব্যাপারে পাকিস্তানের ভূমিকা সকলের চোখে পড়েছে। এই নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আফগানি নাগরিকদের সরব হওয়ার দৃশ্য আমরা বিভিন্ন ভাবে লক্ষ্য করেছি। আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ জানান, তালিবান চলছে পাকিস্তানি সংস্থা আইএসআইয়ের হাত ধরে। কিছুদিন আগেই তালিবানিদের আমন্ত্রণের সারা দিয়ে আইএসআই-এর ডিজি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
তবে তালিবান এই বাপারে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক করতেই আইএসআই-এর ডিজি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়া আফগানিস্তানের বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রয়েছে পাকিস্তানের কাছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমেদের কথা মতোই তথ্য আদান-প্রদানের কাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।