পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পর্যটকদের সামনে ঘটে গেল এক রোমহর্ষক ঘটনা পুরীতে। গত ২৬শে নভেম্বর পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে এক যুবতীর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের সময় ওই যুবতীর পরনে ছিল শুধু মাত্র অন্তর্বাস। মুখ এবং পিঠ কালো হয়ে গিয়েছিল। হাতের কয়েকটি আঙ্গুল ছিল বাদ।
পরিবারের সাথে পুরীতে সমুদ্র দেখতে এসে নিখোঁজ হয় অষ্টাদশীর ওই যুবতী। সমুদ্রের লবণাক্ত জলে দেহ পচে ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, গত ২৩শে নভেম্বর হোটেল থেকে নিখোঁজ হয় ওই যুবতী। তারপর ওইদিন বিকেলেই পুরী থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার তিন দিন পরে ওড়িশার পুরীর পেন্থাকাটা এলাকার সমুদ্র সৈকত থেকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা থেকে ওই যুবতী এবং তার পরিবার পুরীতে বেড়াতে এসেছিল। পুরী আসার দিন দুয়েক পরে ২৩শে নভেম্বর দুপুরে সে হোটেলের বাইরে রোদে শুকাতে দেওয়া জামা কাপড় তুলতে গিয়ে আর ফেরেনি। হোটেলে সাহায্য নিয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজ করেও ওই যুবতীর পাত্তা না পাওয়া গেলে, বিকেলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন তারা। মৃত দেহের কানের দুল, সোনার নথ ও হাতে লাল সুতো, পায়ের কালো সুতো দেখেই যুবতীকে শনাক্ত করে পরিবারের লোক জন। এমনকি মৃতার শরীরে একাধিক কাটা চিহ্নও ছিল।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই কারণেই তার মুখ ও পিঠ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে সনাক্ত না করা যায়। কোনো কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থের সাহায্যে এই কাজ করা হয়েছে। যুবতীর হাতের আঙ্গুলগুলো হয় কেটে নেওয়া হয়েছে কিংবা, সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে ফেলেছে বলে ধারনা পুলিশের। পুরীর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট কেভি সিংয়ের কাছে পরিবার দাবি করেন, এ ব্যাপারে যেন উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হয়।