ভোট গণনা, গণনা বয়কট, করোনা, corona, corona virus
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই হয়েছে ভোট। করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিল ভোটের ডিউটিতে থাকা শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকদের কোনো কথায় মানেননি নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোটের ডিউটি পালন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু শিক্ষক। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা কাঠগড়ায় দার করালেন নির্বাচন কমিশনকে।

এবার ভোট গণনা বয়কটের ডাক দিল আরএসএস শিক্ষক সংগঠন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন এই ভোট গণনা বয়কটের ডাক দিয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক রবিবার উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের গণনা বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজনে শুর থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল শিক্ষক সংগঠনগুলি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের কোনো আবেদন মান্য করেনি বলে শিক্ষক সংগঠন-এর দাবি। শিক্ষক সংগঠন গুলির অভিযোগ, একপ্রকার জোর করে শিক্ষকদেরকে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষক সংগঠন গুলি জানিয়েছে, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কোভিড পরিস্থিতির প্রভাব বেশ দেখা যায় এ রাজ্যে। সংক্রমণ এড়াতে নির্বাচন কমিশনের কাছে পঞ্চায়েত ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনের সেই আবেদন নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেনি।

শিক্ষক সংগঠনের দাবি, ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হলে উল্টো তাদের উপর চাপ এসে পড়ে। শিক্ষকদেরকে ভয় দেখানো হয়। এমনকি শিক্ষকদেরকে জানানো হয়েছে, ভোটের ডিউটি পালন না করলে বেতন দেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।

একাধিক হুমকি পাওয়ার পর অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভোটের ডিউটিতে যেতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। যার ফলে একাধিক শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবার দুশ্চিন্তায় পড়লেন নির্বাচন কমিশন।

আরএসএস অনুমোদিত শিক্ষক সংগঠন রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘ-এর দাবি, “সরকার আমাদেরকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়। ভোটের ডিউটি তে গিয়ে আমরা ৭০৬ জন শিক্ষককে হারিয়েছি। সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমরা ভোট গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সব মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার শিক্ষক ভোট গণনা বয়কট করবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরএসএস অনুমোদিত শিক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, “হাজার হাজার শিক্ষকরা আমাদের কাছে অনুরোধ করছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা ভিশন শঙ্কায় আছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মে মাসে করোনা পরিস্থিতি আরো চরম আকার ধারণ করবে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা শিক্ষকদের প্রাণ বাঁচাতে ভোটের গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”