দেব, দিপক অধিকারী, dev, dipak adhikari, corona, corona virus
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থা। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। প্রতিনিয়ত সংক্রমনের সংখ্যা ১৯ হাজার এর গণ্ডি পার করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ভীড় উপচে পড়ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে সেফহোম বানানোর ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে অতিমারি করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ফের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন টলিউড তারকা দেব। এর আগে তিনি কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করেছেন। এছাড়াও বহু পরিযায়ী শ্রমিককে তাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও তাকে দেখা গিয়েছিল মানুষকে সতর্ক করতে। মুখে মাস্ক পরাটা ভীষণ জরুরী, তিনি সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা টলিপাড়ার পাগলু মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন রাজনীতি তেও। যার কারণে তার অনুগামীরা সংখ্যা কম নয়।

আরও পড়ুনঃ লন্ডভন্ড করল গোটা গুজরাট, এখনো পর্যন্ত তার বিধংসীলীলা জারি রেখেছে

প্রথম লকডাউন এর সময় যেমন তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক তেমনই করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তিনি ফের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দরকার সেফহোম-এর। তবে গতকাল সন্ধ্যায় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমি আমার ঘাটাল লোকসভার অভ্যন্তরীণ ডেবরার সাংসদ কার্যালয়টিকে গত বছরের ন্যায় এবছরও ” হোম আইসোলেশন ” হিসেবে রূপান্তরিত করেছি এবং তার সাথে আমরা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অক্সিজেন পরিষেবা এবং খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা শুরু করছি আমাদের মানুষদের জন্য। যোগাযোগ করুন।”

এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা তথা ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতি নিয়ে না ভেবে করোনা মোকাবিলায় জোর দেওয়া সবথেকে জরুরী। এছাড়াও দেশবাসীর মুখে একটাই আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের বলিউড অভিনেতা ‘সনু সুদ’ এবং টলিউড অভিনেতা ‘দেব’-এর মত হওয়া উচিত। তাহলে দেশের মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে বলেই জানিয়েছে অনেকেই।