পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনার থাবায় ফের জেরবার সারা দেশ। দ্বিতীয় স্রোতের ভয়াবহতা প্রথমবারকেও হার মানাচ্ছে। সংক্রমণের হারও ততোধিক বেশি। গতকাল ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। হাসপাতালগুলোর চেহারা ফের ২০২০-র দিন মনে করিয়ে দিচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড নেই, অক্সিজেনের অভাব, ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা কম পড়েছে। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এই স্রোত সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন।
অথচ মানুষের মধ্যে সচেতনতার চরম অভাব। বাজারে, রাস্তায়, মলে ইত্যাদি জনবহুল এলাকায় মানুষ মাস্ক ছাড়া নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করোনার ভয়াবহতাকে পাত্তা না দিয়ে তারা মগ্ন নিজ জীবনযাত্রায়। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউই। সরকার সকলকে সচেতন করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই বিধিনিষেধ মানতে নারাজ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা রাজধানীতেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানে সপ্তাহান্তে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সরকারের কড়া বার্তাকে উপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গত রবিবার রাজধানীতে এক দম্পতি সকল বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। তারা তাদের গাড়ির মধ্যে বসে ঘুরছিলেন।
এমত অবস্থায় পুলিশের নজরে ব্যাপারটি আসে এবং পুলিশ যথারীতি তাদের গাড়ি থামানোর আদেশ দেয়। কিন্তু তারপর শুরু হয় ঝামেলা। সেই দম্পতি পুলিশের সাথে রীতিমতো দ্বন্দ্ব শুরু করেন। তাদের গাড়ি আটকানোর কারণ জানতে চান তারা। ওই দম্পতি করোনা সচেতনতার কোন বিধি-নিষেধ মানেননি বলে দাবি পুলিশের। গাড়ির মধ্যে বিনা মাস্ক-এ ছিলেন তারা।
পুলিশের সাথে দম্পতির বচসার সময়, গাড়ি থেকে ভদ্রলোক নেমে এসে বলেন, কেন আপনি আমার গাড়িটিকে আটকালেন? আমি আমার স্ত্রীর সাথে গাড়ির ভিতরে বসেছিলাম। গাড়ি থেকে বেরিয়ে ভদ্রলোকের মুখে মাস্ক ছিল না।
পুলিশ অফিসার তাদের বারংবার মনে করিয়ে দেন যে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গাড়ির মধ্যে থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক। কিন্তু তারা একথা মানতে নারাজ। ওই সময় তর্ক-বিতর্কে মহিলাটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বচসা শুরু করে বলেন, আমি আমার বরকে চুম্বন করব। তাতে আপনি আমায় আটকাতে পারবেন?
তারপর সেই দম্পতিকে কাছের একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভদ্রলোকের নাম পঙ্কজ দত্ত এবং ভদ্রমহিলার নাম আভা গুপ্ত। সোমবার সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।