anubrata mondal, tmc, cbi, dear lottery, সত্যিই কি অনুব্রত লটারি জিতে ছিলেন?
সত্যিই কি অনুব্রত লটারি জিতে ছিলেন? জানতে আসানসোল জেলে সিবিআই | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ লটারি কি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের জন্য ? চলতি বছরের শুরুতেই লটারি কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল বিধায়ক অনুব্রত মণ্ডল। তবে সত্যিই কি তিনি টাকা জিতেছিলেন ? নাকি কালো টাকা সাদা করার নতুন কৌশল। সে বিষয়ে তদন্ত করতে আসানসোল জেলে পৌছালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন বলেই খবর ছড়িয়েছিল। তবে সেই লটারি জয়ের ১০ মাস পর তদন্ত নেমেছে সিবিআই। তাহলে কি এই লটারি জয়ের পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ?

জানিয়ে রাখি, গরু পাচার কাণ্ডের জেরে বর্তমানে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার তদন্তভার পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সত্যিই কি অনুব্রত লটারি জিতে ছিলেন? গতকাল শুক্রবার সে বিষয়ে জানতে বোলপুরের “রাহুল লটারি এজেন্সিতে” তদন্ত চালায় সিবিআই।

‘রাহুল লটারি এজেন্সি” এর মালিক শেখ আইনুলকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, রাহুল লটারি এজেন্সি থেকে লটারি ক্রয় করে নাহিনা গ্রামে লটারি বিক্রয় করতেন মুন্না শেখ। এরপর নাহিনা গ্রামের লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই। সিবিআই এর নির্দেশ মতই গতকাল সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন মুন্না। সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরোতেই সাংবাদিকের মুখোমুখি হন তিনি।

অনুব্রত মণ্ডল কি তার কাছ থেকেই লটারি কিনে লটারি জিতে ছিলেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বসেন। তিনি বলেন, তার বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে লটারি জয়ির নাম ওঠে অনুব্রত মণ্ডলের। লটারি বিক্রেতার এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপর। তিনি সত্যিই কি লটারি কিনেছিলেন নাকি, কালো টাকা সাদা করার কৌশল। সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে আজ সকালে আসানসোল জেলে হানা দেয় সিবিআই।