পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুশিয়ারি জানিয়েছেন কমিশনকে, ‘আমার বিরুদ্ধে কেস, শো-কজ করে লাভ নেই।” তিনি জানিয়েছেন জবাবে তার একই বার্তা থাকবে।
গত ৩ রা এপ্রিল তারকেশ্বরে একটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন,” শয়তানদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না।” হুগলীর ভোট প্রচারে মমতার এমন মন্তব্যকে বিধি ভঙ্গ বলে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজের মন্তব্য ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
ডোমজুড়ের সভামঞ্চ থেকে শো-কজ নোটিশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমাকে ১০ বার শো-কজ করে লাভ নেই, একই জবাব দেবো।” তিনি জানিয়েছিলেন, “নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যারা পাকিস্তানি বলেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কটা অভিযোগ হয়েছে ? খালি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ।”
এরপর তিনি বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “সব হোটেলে ভর্তি ভর্তি টাকা নিয়ে এসেছে বিজেপি। টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে, ভোট প্রচার করছে। বিজেপির টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে অনেক গাদ্দার। গাদ্দার একটা দুটো হয় সকলেই নয়। বাংলার মা বোনেরা ওদেরকে রাজ্য থেকে বিদায় করুন।”
তবে এদিন ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী রাজীব চট্টোপাধ্যায় কে আক্রমণ শানিয়ে জানিয়েছেন, “আগে বুঝতে পারিনি, লম্বা, ফর্সা, বেশ সুন্দর দেখতে কিন্তু ভেতরে এত প্যাঁচ ছিল বুঝিনি। সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ছিল। ওকে সরিয়ে বনমন্ত্রী করেছিলাম। কারণ সেচ দপ্তরে থাকার সময় প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে ছিলাম ওর বিরুদ্ধে। অনেক টাকা করেছে, কলকাতায় কটা বাড়ি? কত সম্পত্তি রয়েছে? দুবাইতে পর্যন্ত সম্পত্তি আছে।” এদিনের সভামঞ্চ থেকে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “আবার বলে কিনা সেচ দপ্তরের দিতে হবে, তাহলে একটু বেশি করে চুরি করতে পারত। এরা লোকের আপদে-বিপদে কোনদিন আসেনি। তাই আপনাদের বলছি এবার তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ কে ভোট দিন। ওকে হয়তো দেখতে ততটা ভাল নয়। কিন্তু আপনাদের পাশে থাকবে সর্বক্ষণ।”