mamta banerjee, dinesh trivedi, দীনেশ, দীনেশ ত্রিবেদী, তৃণমূল
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ এবার রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দীনেশ ত্রিবেদী। ত্রিবেদী তৃণমূল পার্টির এবং মমতার বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস করা শুরু করেছেন। দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, তৃণমূলের এখন আর নিজের কোনো রাস্তা নেই। পথভ্রষ্ট হয়েছে অন্য পথ দিয়ে চলছে দল। আমি বসে থেকে কোন কাজ করতে পারছিলাম না এবং আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাই আমার ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

তিনি জানিয়েছেন, জে.পি. নাড্ড র গাড়ি হামলার প্রসঙ্গে তিনি প্রতিবাদ এবং নারোদা কান্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু দল তখন আমার বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। তখন আমার দল আমার দিকে নিশানা করেছে। দল আর দল নেই দলের অন্তরাত্মা হারিয়ে গিয়েছে। পথভ্রষ্ট হয়েছে দলের। রাজনৈতিক হিংসায় ভরে গেছে রাজ্য। মাথা উচু করে চলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। তিনি আরো জানান, জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে এত সমস্যা কেন মমতার সেটা আমি জানিনা। তবে এটার উত্তর শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারবেন।

দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের ঘোষণার পর দলের সাংসদ সৌগত রায় জানান, “দীনেশের পদত্যাগে আমি দুঃখিত ওনার ক্ষোভের বিষয়ে আগে কোন কথা স্পষ্ট ভাবে বলেননি। তবে ভোটের আগে এমন ভাবে ইস্তফা দেওয়ার ঠিক হলো না”। এই প্রসঙ্গে ত্রিবেদী জানিয়েছেন, আমি আগে থেকেই ইস্তফা দিলাম। যাতে নির্বাচনের পর যদি ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে না যায়। তখন তৃণমূল বলতো আমি হারের পর দল ছেড়েছি। এর আগে আমি রেল মন্ত্রীর পদও ছেড়ে ছিলাম।

দীনেশ ত্রিবেদী আরও জানিয়েছেন, “রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এখনো পাঁচ বছরের বেশি সময় আছে। তৃণমূল যাকে ইচ্ছা তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন খুব ব্যস্ত মানুষ। এর আগে প্রতিনিয়ত কথা হতো ওনার সাথে আমার। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওনার সঙ্গে কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ওনার সাথে কথা বলতে গেলে এখন অন্যান্য নেতাদের থেকে অনুমতি নিতে হয়।”

দেশের প্রধানমন্ত্রী কে গালি গালাজ করাটা একটা অসম্মানজনক ব্যাপার। এটা বাংলার সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। এটা কে কখনো প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। তৃণমূলের শাসনাধীনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ কে গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয়। এই দলে গেরুয়া বাহিনী দের উদ্দেশ্যে যে যত গালিগালাজ করতে পারবে তাদেরকে তত নাম্বার দেওয়া হবে। বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এটা। আর আমি এটা কখনোই করতে চাই না।