west bengal, হুগলী, পান্ডুয়া, পান্ডুয়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধর
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলি জেলার পান্ডুয়া হাসপাতালে। যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই বেধড়ক মারধর করা হয় চিকিৎসককে। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের গাফিলতির ফলেই ২৮ বছরের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম শেখ ইসলাম। তিনি গুজরাটে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। তিনি হুগলি জেলার পান্ডুয়ার কোটাল পুকুর-এর বাসিন্দা। ঈদের সময় তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদ কাটানোর পর এতদিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। এতদিন কোন প্রকার অসুবিধা দেখা যায়নি তার শরীরে। তবে আচমকাই রবিবার তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। যার সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ২৮ বছরের ওই যুবককে পান্ডুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা।

ওই হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন চিকিৎসক শিব শংকর রায়। ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসক শিব শংকর রায় তাকে ইসিজি করাতে বলেন। এরপর তার বুকের ব্যথা কমানোর জন্য একই সঙ্গে চারটি ঔষধ খেতে দেন। ওই চারটি ওষুধ খাওয়ার পরেই ২৮ বছরের ইসলাম প্রাণ হারায় বলে অভিযোগ ইসলামের পরিবারের সদস্যদের।

ইসলামের মৃত্যুকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ইসলামের পরিজনেরা। চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হয়ে ছুটে যান ইসলামের গ্রামবাসীরাও। এরপর মারধর শুরু করে চিকিৎসকদের ওপর। হাসপাতাল কে কেন্দ্র করে ইট পাথর ছুড়ে মারতে শুরু করে তারা। ঘটনা সামলাতে মুহূর্তের মধ্যেই পান্ডুয়া থানার পুলিশ উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে মারমুখী জনতার আঘাতে এক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিটি রোড অবরোধ করেছেন। চিকিৎসকদেরকেও বেধড়ক মারধর করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। চিকিৎসকদের গাফিলতি বলেই অভিযোগ করে চলেছেন তারা।