firhad hakim, priyadarshini hakim, narada, bjp, tmc,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গতকাল সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম সহ ৪ জন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে গতকাল রাতে কলকাতা হাইকোর্টের নিম্ন আদালতের রায় স্থগিতাদেশ দিতেই তাদের কড়া নিরাপত্তার জন্য নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রন্দন সুরে ফিরহাদ হাকিম বললেন কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না আমায়। একুশের মন্ত্রিসভায় আবাসন ও পরিবহন মন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন ফিরহাদ। করোনা মোকাবিলায় রুখে দাঁড়াতে তাকে টিকাকরনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর রাত ১ টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র সহ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোনোর পরে সাংবাদিকের সামনে এসেই আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ফিরহাদ হাকিম। শেষমেষ তিনি কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করলেন।

আরও পরুনঃ আপনি কি করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি ? তাহলে বাড়িতে বসেই প্রি বুকিং করুন এই নম্বরে

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং আমরা আইনের মধ্য দিয়েই মুক্তি পাব। গেরুয়া শিবির, সিবিআই, ইডি সমস্ত কিছুই কিনে নিতে পারে। এরপর হয়তো ইডি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কেস করা হবে। হেনস্তা করা হবে। কিন্তু মুখ বন্ধ করে থাকবে না ভারতের বিচার ব্যবস্থা। আইনের মধ্য দিয়ে আমরা ন্যায়বিচার পাব।”

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “পপুলার হওয়াটা কোন অন্যায় নয়। আমি পপুলার, তাই হাজার হাজার মানুষ আমার সমর্থনে এসেছে। আমি সিবিআইকে সহযোগিতা করেছি, ভালো ব্যবহার করেছি, তাহলে আমার দোষ কোথায়?” এরপর তিনি আবেগ ভরা কান্নায় বলে ওঠেন, “আমাকে কোভিড মোকাবিলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমায় কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না।”

আরও পরুনঃ শুরু হল “দুয়ারে রেশন” এর নিয়োগ প্রক্রিয়া, জানুন বিস্তারিত

অন্যদিকে কলকাতার পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম তার বাবার গ্রেফতারের বিষয়ে বলেছেন, “গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পূর্ণই ষড়যন্ত্র। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। গণতান্ত্রিকভাবে বাংলায় ভোটে জিততে না পেরে। জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। আর রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আর রাষ্ট্রপতি শাসনের ফাঁদ তৈরি করছে।”