Mumbai, drugs, মুম্বাই, মাদক দ্রব্য
জামার বোতাম এবং কাগজের ভাজে মাদকদ্রব্য! মুম্বাইয়ে উদ্ধার ৪৭ কোটি টাকার হিরোইন-কোকেন

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছরের শুরু থেকেই দেশে কড়া নিরাপত্তায় বহাল প্রশাসন। তার মাঝেও পাচার হচ্ছিল মাদকজাত দ্রব্য। গত শুক্রবার মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবগারি বিভাগের হাতে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ হিরোইন এবং কোকেন, যার মূল্য প্রায় ।

বিমানবন্দরের আবগারি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরের দুই পৃথক বিমান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ মাদকজাত দ্রব্য। দুই ব্যক্তির সন্দেহজনক আচরণে উদ্ধার হয় হিরোইন ও কোকেন।

প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বাই আসা এক যাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ দেখে তাকে আটক করা হয়। তার ব্যাগ সার্চ করার জন্য চাওয়া হলে সেই ব্যক্তি আপত্তি জানান। তাতে সন্দেহ বাড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। আর তারপরেই সেই ব্যাগ খুলে দেখা যায় নথিপত্রের প্রতিটি খাপে খাপে রয়েছে মোট ১২টি প্যাকেট। যে প্যাকেটের মধ্যে ছিল ৪.৪৭ কেজি হিরোইন।

সেদিনই অর্থাৎ গত শুক্রবার মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে অন্য বিমানে আসা আর এক যাত্রীকে আটক করা হয়। সেই ব্যক্তির যখন সবকিছু স্ক্যানিং করা হচ্ছিল তখন তার একটি ব্যাগ নিরাপত্তারক্ষীদের সন্দেহজনক লাগে, যে ব্যাগে ছিল একটি কুর্তা। সেই কুর্তাতে লাগানো ছিল ঘেষাঘেষি করে প্রচুর বোতাম।

আর তারপরেই সন্দেহ জাগে নিরাপত্তারক্ষীদের। সেই মহিলার থেকে ওই ব্যাগ নিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বোতাম থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ কোকেন। এছাড়া, ব্যাগের ভিতরেও ছিল আরো মাদক। সবকিছু মিলিয়ে মোট ওই মহিলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১.৫৯ কেজি মাদকজাত দ্রব্য।

এদিন বিমানবন্দরে কাস্টমস জোনাল ইউনিট থাকায় আলাদা আলাদা দুই বিমান আসে। আর সেই দুই বিমান থেকেই উদ্ধার হয় ৪৭ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য। প্রথম ব্যক্তিটি অর্থাৎ যার ডকুমেন্টস-এর ব্যাগ থেকে মাদকজাত দ্রব্য উদ্ধার হয় তার কাছ থেকে মোট হিরোইন পাওয়া গিয়েছে ৪.৪৭ কিলোগ্রাম। যার মূল্য ৩১.২৯ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, কুর্তার বোতাম থেকে যে মাদক উদ্ধার হয়েছে তার মোট পরিমাণ ছিল ১.৫৯ কেজি কোকেন। যার মূল্য প্রায় ১৫.৯৬ কোটি টাকা। তবে এই দুই ব্যক্তির থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার পরে তাদের নামে ড্রাগস সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।