পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা সংক্রমনের জেরে দেশের অধিক রাজ্যই হেঁটেছে লকডাউন এর পথে। শেষমেষ করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে লকডাউন চলাকালীন ছোটো দোকানদারদের কথা ভেবে নয়া ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গত ১৪ ই মে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তবে লকডাউন এর মধ্য দিয়ে কি কি খোলা থাকবে, সে বিষয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যে কার্যত লকডাউন হওয়ার পর, হাট-বাজার ও দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত। তবে ৩০ শে মে অর্থাৎ গতকাল লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তির ফলে আগামী ১৫ ই জুন পর্যন্ত ফের লকডাউন জারি করা হয়েছে।
তবে লকডাউন এর মধ্য দিয়ে খুচরো দোকান গুলি খোলা রাখার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানান, বেলা ১২ টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ক্ষুদ্র দোকানপাট গুলি খোলা রাখতে পারবে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুলি ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, টিকাকরণের পর নির্মাণ শিল্প কর্মীদের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বাজার ঘাট। সকাল ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে শাড়ির দোকান ও জুয়েলারি দোকান গুলি। সকাল থেক সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মিষ্টির দোকান। তবে লকডাউন জারি করার পর কার্যত উন্নতির দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। কিছুটা হলেও করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য সরকার।
লকডাউন ঘোষণা করার আগে রাজ্যে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন প্রতি প্রায় ২১ হাজার এর গণ্ডি পেরিয়ে ছিল। তবে লকডাউন ঘোষণা করার পর নিম্নমুখী হয়েছে করোনা গ্রাফ। বর্তমানে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪৮ জনে। লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্য সরকার সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে সেটা বলাই যায়। তবে লকডাউন এর পথে হাটার সাথে সাথে, ছোটো ছোটো ও খুচরো দোকানপাট গুলির কথা ভেবেছে রাজ্য সরকার।