পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ট্রায়াল। রাজ্য সরকার এটিকে একটি পাইলট প্রজেক্ট ধরে এগোচ্ছে। এই ট্রায়ালের পর এই প্রকল্প নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কিছুদিন আগেই বিভিন্ন জায়গায় রেশন ডিলারদের বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। এই প্রকল্প নিয়ে তাদের ছিল বিভিন্ন ধরনের মতামত। এদিন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, আজকে থেকে তিন হাজারের বেশি রেশনের দোকানে এই প্রকল্পের ট্রায়াল শুরু করা হবে। এই প্রকল্প নিয়ে মামলা করেছিলেন দুই জন রেশন ডিলার। কিন্তু রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কোনো রকম মামলা করেনি। কাজেই ট্রায়ালটি চলবে। জনসাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে রেশন।
এর আগে রেশন ডিলাররা এই প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তখন তাদের রেশন বিলি করতে যাওয়ার গাড়ি, কমিশন ইত্যাদি নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। তাদের দাবি ছিল, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন গাড়ির।
রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, ব্যাংক থেকে কোনরকম লোনের মাধ্যমে আমরা গাড়ি কিনব না। ৩ বা ৪ লাখ টাকা খরচ করে এখন এই সময়ে আমাদের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব হবে না। রেশন ডিলারদের এই দাবি মানতে নারাজ খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, গাড়ি কেনার জন্য গতিধারা প্রকল্পে প্রায় এক লাখ টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গাড়ি কেনার ব্যবস্থাও করে দেবে রাজ্য সরকার। সেখানে বাকি টাকাটা দেবে রেশন ডিলাররা। যারা গাড়ি নেবেন তারাই ওই গাড়ির মালিক হয়ে যাবেন। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে তারা এই গাড়ির ব্যবহার তো করবেনই, এছাড়াও তারা নিজস্ব প্রয়োজনে এই গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে।
বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল শস্যের কমিশন ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হল। বায়োমেট্রিক করতে হলে প্রতি কুইন্টালে পাওয়া যাবে আরো ২৫ টাকা বেশি। এতদিন এই শস্যের জন্য ৭৫ টাকা কমিশন পেত ডিলাররা। এবার সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২৫ টাকা। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে ডিলাররা দাবি করেছেন ২০০ টাকা। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের কমিশন ১২৫ টাকা করেছে।