পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিরাট ভূমিকম্পে কেপে উঠল গোটা তুরস্ক। রিখটার স্কেলের মাত্রা ৭.৯। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। একবার নয়, এই নিয়ে দু-বার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তুরস্ক। এখনো পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬০০। যা আগের দিন রাতে ছিল ৯২০।
সূত্রের খবর, এদিন ভোর রাতে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। আর সেই কম্পনে মৃতের সংখ্যা হয়েছিল ৯২০ জন। তবে পরবর্তীতে অর্থাৎ সেখানকার সময় অনুযায়ী পরের দিন দুপুর ১:২৪ নাগাদ আবার ভূমিকম্পন হয় তুরস্কে। আর সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৭.৯। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে গোটা তুরস্ক। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে ঘর-বাড়ি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে হওয়ার কথা ছিল এই ভূমিকম্প। ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান জানিয়েছেন, এই সেন্টারের ইতিহাসে রেকর্ড করল তুরস্কের ভূমিকম্প। যার রিখটার স্কেলের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে নেপাল যেভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল সেরকমই বিধ্বস্ত হয়েছে ২০২৩ সালে তুরস্ক। সেই সময় নেপালে মৃতের সংখ্যা হয়েছিল ৮৬৯৪ জন। নেপালের ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৭.৮। তবে তুরস্কের ভূমিকম্পের মাত্রা তার থেকেও বেশি, ৭.৯। এছাড়াও, ২০১৮ সালে ভয়ংকর ভাবে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার মাটি। সেই সময় রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৭.৫।
২০১৮ সালের পর ৩ বছর সেরকম বড় ধরনের ভূমিকম্পনের সম্মুখীন হয়নি কোনো দেশ। তবে তারপর ২০২১ সালে ভয়ংকর ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয় হাইতি। ২২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেইসময়। সেখানকার ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৭.২। এরপর ২০২২ সালে বড় ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয় আফগানিস্তান। এই ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১৬৩। রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৬.২। তারপরেই অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিকেই মাটি কেঁপে ওঠে তুরস্কে। মাত্রা ৭.৯। এখনো পর্যন্ত তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৩৩। সন্ধান চলছে এখনো।