পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের কয়েকদিন পরে নারদা কাণ্ডের জেরে গ্রেপ্তার করা হয় কলকাতার চার হেভিওয়েট নেতাকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৭ ই মে এই চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI)।
সিবিআই-এর গ্রেপ্তারের (CBI) ঠিক তিন মাস পর এবার নারদা কান্ডের চার্জশিট জমা দিল ইডি (ED)। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায নাম রয়েছে চার্জশিটে। এই চার হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি ওই চার্জশিটে আরও একজনের নাম রয়েছে। তিনি হলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন মির্জা।
ইডি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং এক্ট বা পিএমএলএ-র ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর ধারা ধার্য করা হয়েছে। ওই চার্জশিট অনুযায়ী আগামী ১৬ ই নভেম্বরের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন মির্জাকে সিটি সেশন কোর্টের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে চার্জশিট পাঠানো হচ্ছে এবং বাকি দু’জন অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন মির্জাকে তাদের ঠিকানায় চার্জশিট পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইডির তরফ থেকে চার্জশিট পেশ করে বলা হয়েছে, সৌগত রায়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও অরূপা পোদ্দার সহ নারদা কান্ডের সঙ্গে যুক্ত। সবার বিরুদ্ধেই সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাবে ইডি (ED)।