পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও কয়লা পাচার কাণ্ডে নতুন মোড় নিল ইডির রিপোর্ট। অনেকদিন ধরেই কয়লা পাচার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। উঠে এসেছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য। নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা দেবীর।
এবারে এই তদন্দে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই কয়লা পাচারকাণ্ডে একেবারে পরিষ্কারভাবে উপরে উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা দেবীর নাম। এই মর্মে ইডি আদালতে পেশ করেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লী আদালতে ইডি এইসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করতেই এই কাণ্ডে জড়িয়ে গেলো একের পর এক পুলিশের নাম। এই তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে যে কিভাবে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের কাছে যেত।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিল্লী আদালতে এই মর্মে তথ্য পেশ করে ইডি। জানা যাচ্ছে যে বাঁকুড়ার আইসি অশোক মিশ্রের অ্যাকাউনটে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশাল বড় অঙ্কের টাকা জমা পড়ার কথা। প্রথম এই কাণ্ডে গ্রেপ্তার হলেন কোন পুলিশ আধিকারিক।
তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গেছে যে, অশোক মিশ্রের একাউন্টে ১০৯ দিনে জমা পড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। এতো কম দিনে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে ওই পুলিশ আধিকারিকের ব্যাংক একাউন্টে আসলো তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হলে উক্ত আধিকারিককে জেরা করা হয়। তার পরেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ- খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব কমিশনের! কি হতে চলেছে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ? জানুন বিস্তারিত
কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা অনুপম মাঝি ওরফে লালাকে আপাতত জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের রক্ষা কবচ উঠলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার সহযোগীর গোপন জবাব বন্দী থেকে জানা গেছে যে, অশোক মিশ্রের টাকার অনেকটা পরিমাণ যেত দিল্লীর তৃণমূলের আরেক যুব নেতা বিনয় মিশ্রের কাছে।
সেই সমস্ত টাকা জমা পড়ত থাইল্যান্ড এবং লন্ডনে। সেই বিদেশী একাউন্টের সাথে সংযোগ মিলেছে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শালীর। প্রসঙ্গত এই কাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে তত এক একজন বড় বড় ব্যক্তিত্বের নাম সামনে আসছে। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।