পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলছে বিধানসভা ভোট। আর এই বিধানসভা ভোটে তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ ইতিমধ্যে অন্য মাত্রা নিয়েছে। চতুর্থ দফা ভোটেও মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে রাজ্য। বেঘরে প্রাণ গেছে অসংখ্য সাধারণ রাজ্যবাসীর। এরই মধ্যে চতুর্থ দফা ভোট ঘিরেই সবচেয়ে বেশী উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য।
চতুর্থ দফা ভোটে রাজ্যের মোট ৪৪ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ এবং বাহিনীর সংঘাতে রক্তাক্ত রূপ নেয় কোচবিহারের শীতলকুচি। কিন্তু কোচবিহারের এই বুথেই অন্যবারের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় ৭৯.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে কোচবিহারের শীতলকুচিতে।
ইলেকশন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী কোচবিহারে মোট ভোট দাতার পরিমাণ ৮৪.৭৬ শতাংশ। রাজ্যের কিছু জায়গায় চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ কে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির দেখা মিলেছে। চতুর্থ দফা ভোট এ রাজ্যের মোট ৪৪ টি বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজ্যের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বুথ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সেখানে হঠাৎ করেই খিপ্ত জনতা মারমুখি অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করলে বাহিনী নিজেদের আত্ম রক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সেক্ষেত্রে মারা যান ৪ জন সাধারণ মানুষ এবং আহত হন অনেকে। এমত অবস্থায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শীতলকুচি।
শীতলকুচি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি তর্জা একেবারে অন্যমাত্রায় পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবী করেন এবং পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বিদায়ী বার্তার কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এতো সব ঘটনা স্বত্ত্বেও যেটা সকলের নজর কাড়ছে তা হল কোচবিহারে বিভিন্ন বুথে সমস্ত রকম প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও ভোট পড়েছে নজির বিহীন ভাবে।
কোচবিহারের মাথাভঙ্গায় ভোট পড়েছে ৮৫.৭৫ শতাংশ। এছাড়াও সমস্যা বা অশান্তির কেন্দ্র অর্থাৎ শীতলকুচিতে ভোট পড়েছে অন্যবারের তুলনায় বেশি। এছাড়াও অন্যান্য বুথ যেমন উত্তর কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৮৫.৩৯ শতাংশ এবং মেখলিগঞ্জে পড়েছে ৮৭.৩১ শতাংশ।
তবে সমস্ত কিছুর মধ্যেই এখনও চলবে রাজ্যে বাকি দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। নির্বাচন কমিশনের কাছে আগামী আরো চার দফার ভোট কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে তারা পরিচালনা করবেন তা নিয়ে নজর রেখেছেন রাজ্যের মানুষ।