মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, Mamta Banerjee, election commission of india, tmc,
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। একুশের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বাংলাকে পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিজেপিকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ বুধবার রাজ্য ভবনে রাজ্যপালের কাছে শপথ গ্রহণ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন এবং তার পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন।

রাজ্যের এমন পরিস্থিতির জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই দোষারোপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ সুপারদেরকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তার পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “আর কোনরকম অশান্তি আমরা মেনে নেব না।”

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভা থেকে শপথ গ্রহণ করার পর কোভিড মোকাবিলায় বেশকিছু কথা তিনি তুলে ধরেন। এরপর তিনি নবান্নের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। নবান্নে পৌঁছে তিনি রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ একাধিক উচ্চপদস্থ অধিকারিক এবং পুলিশ অধিকারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক বসেন। সেই বৈঠকে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং জরুরী ভিত্তিতে কোন প্রকার লকডাউন জারি করা হবে কিনা, সে বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়েও ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন।

সবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুললেন। তিনি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা তুলে ধরে বলেন, “প্রত্যেক এসপি এবং জেলাশাসককে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, কোন রকম অশান্তির ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। যে জায়গাগুলিতে বিজেপি জিতেছে, সেই সকল জায়গাগুলিতেই অত্যাচার করা হচ্ছে।”

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “গত তিন মাস ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছিল। আর এতদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই সময় সমস্ত কিছু নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। অনেকে মিথ্যে খবর ছড়ানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। যেটা আগের ঘটনা, সেটা এখনকার ঘটনা বলে চালিয়ে হিংসা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “গুজবে একদম কান দেবেন না। তবে কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনাও ঘটেছে এই সময়। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা আবেদন করব এবার এগুলো বন্ধ করুন। বিধানসভা নির্বাচনে অনেক অত্যাচার করেছেন আপনারা। এবার এই রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করুন। আইন কিন্তু আইনের পথে চলবে। বাংলায় হিংসার কোন জায়গা নেই। বাংলা সংহতি, সম্প্রীতি, সংস্কৃতির জায়গা।”