পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজ্যে ভোট গণনা কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২’রা মে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের মতো বাংলার মসনদে বসলেন তৃণমূল নেত্রী। গত ৫ ই মে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন। আর আজ ১২ ই মে ভোট গণনার ঠিক দশ দিন পরে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির।
ভারতীয় জনতা পার্টি জানিয়েছে, যে আসনগুলিতে বিজেপি দুই হাজারেরও কম ভোটে হেরেছে, সেই আসনগুলি পুনর্গণনার দাবি চেয়ে তারা আদালতে মামলা করবে। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখেও অন্য সুর পাওয়া গেল, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে ঘাস ফুল শিবিরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মামলা করা হয়েছে।
তবে গেরুয়া শিবিরের এই পুনর্গণনার দাবিকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিজেপির এই বড় হার কিছুতেই স্বীকার করতে পারছে না। তাই নতুন নতুন ফন্দি আঁটছে বিজেপি। আবার অনেকেই জানিয়েছেন, বিজেপি পুনর্গণনার দাবি চেয়ে পাল্টা শাসকদলের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জয়ী হয়ে বাংলায় নতুন সরকার গড়বে। তবে গেরুয়া শিবিরের এই হার কে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট পেয়েছিল বিজেপি। তবে একুশের নির্বাচনে খুব কম সংখ্যক ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে গেরুয়া শিবির।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গণনায় কারচুপি করেই হারানো হয়েছে বিজেপিকে। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একুশের নির্বাচনী প্রচারে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম দেখা গিয়েছে। তবে তার কিছুটা প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে না সেটা তো কখনোই হতে পারেনা। পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা যেই আসনগুলিতে দুই হাজারেরও কম ভোটে হেরেছি। সেই আসনগুলিতে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করব।’
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পুনর্গণনার দাবির বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা তথা বর্তমান কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ভোট গণনায় যদি কোন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তাহলেই পুনর্গণনার দাবি করা যায়। কিন্তু দুই হাজারেরও কম ভোটে হারলে পুনর্গণনার দাবি করা যায় না। আদালতে পুনর্গণনার দাবি করতে গেলে আগে প্রমাণ করতে হবে গণনায় অনিয়মের অভিযোগ। যদি কোনও প্রকার অভিযোগ না ওঠে তাহলে মামলা করে কোন লাভ নেই।