Terrorism, Subharhmanyam jaysankar, India, United nations, Pakistan, এস জয় জয়শঙ্কর
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে চীন ও পাকিস্তানকে তুলোধোনা করলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয় জয়শঙ্কর | ছবি - পশ্চিমবঙ্গ.com

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভারত ! জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের আশ্রয়দান এবং অনুপ্রবেশের মূল হোতা হলো পাকিস্তান। আর তারই পাল্টা স্বরূপ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। এছাড়াও ছোটখাটো ভাবে একাধিকবার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

কিন্তু পাকিস্তান এমনই কানকাটা যে অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোন বালাই তাদের নেই। তাই এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে একই সুরে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে ছাড়লেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র পাকিস্তান। সে দেশের উচিত নিজেদের কার্যকলাপ ঠিক করা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা।”

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর একদা হিলারি ক্লিনটনের করা এক মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে বলেন, “এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি আপনি নিজের বাগানে সাপ রাখেন, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র বলে মনে করে।”

Terrorism, Subharhmanyam jaysankar, India, United nations, Pakistan, এস জয় জয়শঙ্কর
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে চীন ও পাকিস্তানকে তুলোধোনা করলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয় জয়শঙ্কর | ছবি – পশ্চিমবঙ্গ.com

এদিন বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান এবং একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।”

বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক মূলকেন্দ্রগুলি এখনও সক্রিয় রয়েছে। চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বিনা কারণে বাধা দিচ্ছে।” তিনি এদিন তার বক্তব্যের মধ্যে দেশের এই দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেও তাদের কটাক্ষ করে বলেন, “সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবারও তিনি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন। চিন-পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেছিলেন, “যে দেশ ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়, তারা কোনওভাবেই এই কাউন্সিলে বলার অধিকার রাখে না।”