ফিফা, fifa world cup prediction, world cup 2022, qatar world cup prediction
চাঞ্চল্যকর তথ্য ! কে জিততে চলেছে এই বছরের ফুটবল বিশ্বকাপ ? তা জানিয়ে দিলো ফিফা | ছবি - সংগৃহীত

বিশ্বকাপ ফুটবলঃ- ২০১৮ বিশ্বকাপের থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের ফুটবল। আগামী চার বছর পর ২০২৬ বিশ্বকাপের আরো বেশি উন্নতির আশা করছে ফিফার কর্তৃপক্ষরা। তবে এটি নতুন না, প্রতি বিশ্বকাপে পাল্টে যায় গোটা ফুটবলের ধরন। যেটি ধরা পড়েছে ফিফার এক পর্যবেক্ষণে। আধুনিক ফুটবলের প্রতিটি দলই রক্ষণ সংগঠনে পরিবর্তন এনেছে। গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচেরা নিয়েছে নতুন পরিকল্পনা ও রণকৌশল। সেই বদল কতটা প্রভাব ফেলেছে আধুনিক ফুটবলে সেটি বিচার করে দেখেন ফিফার বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কোন দল এবছর বিশ্বকাপ জিততে পারে সেটিও বলে দিল ফিফা।

ফুটবল খেলার পাশাপাশি বদলে গিয়েছে গোল করার ধরন। গত চার বছরে বদলে গিয়েছে আধুনিক ফুটবলের ধরন, এমনটাই দাবি করলেন ফিফার সদস্য আর্সেন ওয়েঙ্গার ও যুরগেন ক্লিন্সম্যানরা। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণের তথ্য উঠে এসেছে, প্রায় প্রতিটি দলই বেশ খানিকটা সামনে এগিয়ে এনেছে তাদের রক্ষণভাগকে। মাঝমাঠেই বিপক্ষের আক্রমণকে থামিয়ে দিতে চাইছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।

আরো একটি পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে, দলের উইং শক্তি যত বেশি ততই ভাল ফলাফল করছে সেই দল। এই কারণেই বদলে গেছে গোল করার ধরনও। অর্থাৎ মাঠের দুই ধার ব্যবহার করে আক্রমণে উঠে দলগুলো অনেক বেশি গোল করছে। গতবারের বিশ্বকাপের তুলনায় এই বছরের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের গোল সংখ্যা ৮৩ শতাংশ বেশি। তাছাড়া এই বছরের বিশ্বকাপে উইং ব্যবহার করে আক্রমণ তুলেছে প্রায় সব দলগুলি।

আর্সেনালের প্রাক্তন ম্যানেজার ওয়েঙ্গার বলেছেন, “অন্যবারের তুলনায় এইবারে মাঠের মাঝখানে ফুটবলারদের জটলা অনেক বেশি, ফলে ফাঁকা থাকছে মাঠের দুই ধার। যে দলেরই উইং যত বেশি শক্তিশালী তাদের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।” তার সঙ্গে একমত জার্মানি প্রাক্তন ফুটবলার ক্লিন্সম্যানও। তিনি জানিয়েছেন, “মাঝ মাঠ ব্যবহার করে আক্রমণ তৈরি করা এখন বেশ কঠিন এবং রক্ষণের খেলোয়াড়রা একটু কাছাকাছি দাঁড়াচ্ছে একে অপরের। মাঠের মাঝখান ব্যবহার করে বল নিয়ে এগোনো সম্ভব হচ্ছে না।”

বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রত্যেকটি দলের রক্ষণভাগ থাকছে একে অপরের পাশাপাশি। গতবারের বিশ্বকাপে রক্ষণের ফুটবলাররা এরকম জায়গা নিয়ে খেলতেন না। এই বছর সেই জায়গার তুলনা করে ৩৩ শতাংশ কম। ফলে আক্রমণ তুলে আনার জন্য বিপক্ষ দলকে উইঙ্গের সাহায্য নিতে বাধ্য করেছে অনেক দল। ক্লিন্সম্যানের মতে, দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার মতো দল এগিয়ে রয়েছে ইউরোপিয়ান দল গুলোর তুলনায়। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকার চিরকালই এইভাবে ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত। ছোটবেলা থেকেই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে এই পরিস্থিতিতে লড়াই করতে শেখে। সুতরাং অবাক হওয়ার মত কিছুই নেই, দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোই এগিয়ে থাকবে।

৯০ মিনিট হয়ে যাওয়ার পরও খেলার অতিরিক্ত সময় এই বছর বেড়েছে যা প্রভাব ফেলেছে দলগুলোর পারফরমেন্সের উপর। ফিফার দাবি যে দলের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা যত বেশি তারাই ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ভালো লড়াই দিতে পারবে। এইবারে বিশ্বকাপ ফুটবলারদের শারীরিক ক্ষমতারও পরীক্ষা নিচ্ছে। সাথে তো রয়েছেই পাঁচটা পরিবর্তন, যা শেষের দিকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে ম্যাচের উপর।চ