পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– গত ১০ ই মার্চ ভারতের ৫ টি রাজ্যের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে চারটি রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিরোধী নেতৃত্বরা।
ভারতীয় রাজনীতিতে কথা আছে ‘উত্তরপ্রদেশ যার ভারত তার।’ আর উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড়োসড়ো জয়লাভের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিজেপির দপ্তর থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন,”যারা বলছিলেন যে এই নির্বাচন তা ২৪ এর আগের সেমিফাইনাল, তারা হয়তো ২০২৪ এর ফলাফল জেনে গিয়েছেন।”
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হারের পর যেন ভেঙে পড়েছে বিরোধী শিবির। আর কোনোভাবেই জানি কেউ মানতে চাইছেন না যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে কেউ হারাতে পারবে।
অন্যদিকে আসন্ন ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধী নেতা হিসেবে সবার কে সামনে আসবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সবাই। কংগ্রেসের মধ্যেই অনেকে আর গান্ধী পরিবারের উপরে ভরসা রাখতে চাইছেন না। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বরিষ্ঠ কংগ্রেসের নেতাদের কথায়।
তবে কে হবেন বিরোধী নেতা ? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল না কংগ্রেসের সুপ্রিমো রাহুল গান্ধী, তা তো সময়ই বলবে।
Battle for India will be fought and decided in 2024 & not in any state #elections
Saheb knows this! Hence this clever attempt to create frenzy around state results to establish a decisive psychological advantage over opposition.
Don’t fall or be part of this false narrative.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 11, 2022
তবে বিরোধীদের মনোবল দিতে এবার আসরে নামলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি নিজের টুইটারে লিখেছেন “ভারতের জন্য লড়াই ২০২৪ এ হবে এবং কোনো একটি রাজ্যে হবে না। এটি সাহেব জানেন ! তাই তিনি রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে বিরোধীদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা নিতে চাইছেন। এই মিথ্যা কাহিনীর ফাঁদে কেউ পা দেবেন না।”