কোভিশিল্ড, করোনা ভাইরাস, ভ্যাক্সিন,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রায় সুনামির মত আছড়ে পড়েছে। এমত অবস্থায় সারা দেশেই অভাব দেখা দিয়েছে পর্যাপ্ত হাসপাতাল বেডের, অক্সিজেনের এবং করোনা ভ্যাক্সিনের। এমত অবস্থায় কিছুদিন আগেই ভ্যক্সিনের সমস্যা নিয়ে সারা দেশের সবচেয়ে ক্ষতি গ্রস্থ রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষেই কোলকাতায় এসে পৌঁছল কোভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ডোজ।

আগামী ৫ ই মে থেকে শুরু হতে চলেছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টীকাকরণ। তার সাথেই চলেছে ৬০ বছর এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টীকাকরণ। সেক্ষেত্রে রাজ্যে যাতে ভ্যাক্সিনের কমতি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কোলকাতায় কোভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে।

এই মুহূর্তে রাজ্যে ৪ লক্ষ ভ্যাক্সিন বিতরন করা হবে এবং বাকি ৬ লক্ষ ভ্যাক্সিন সংগ্রহ করে রাখা হবে। এই টীকাকরণ মর্মে কিছুদিন আগেই নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে, সরকারি হাসপাতাল গুলিতে বিনামূল্যে টীকা দেওয়া হবে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে সরাসরি ভ্যাক্সিন কিনতে হবে।

এই মর্মে সেরাম ইন্সটিটিউট জানায় যে, কোভিশিল্ড প্রতি রাজ্য সরকার ৪০০ টাকায় কিনতে পারবে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে দাম পড়বে ৬০০ টাকা। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার পাবে ১৫০ টাকায়। তবে নতুন নির্দেশিকায় কোভিশিল্ডের দাম রাজ্য প্রতি ৩০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ মানবিক কারণে দাম কমানো হয়েছে ১০০ টাকা করে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে টিকাকরনের জন্য নাম নথিভুক্ত করুন শুরু হয়ে গেছে।