পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশেই প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি একেবারে মারাত্মক আকার নিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে লকডাউনের ঘোষণা করে দিয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লী, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়ে করোনা পরিস্থিতি সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা ভোট। সেই বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করেই সারা রাজ্যে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন সভা এবং র্যালি। যার ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে প্রতিদিন দু লক্ষ মানুষের বেশি।
এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল হলে, প্রধান বিচারপতির মঙ্গলবার রায় দেন, ‘যথেষ্ট র্যালি হয়েছে, এবার যেন সাধারণ মানুষকে বিচার করতে দেওয়া হোক।’ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঠিক হওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতির হাওয়া ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। এমত অবস্থায় সমস্ত করোনা বিধি মেনে নির্বাচন সম্পন্ন করাটাই হল এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্য বিচারপতি বার্তা দেন যে, সাধারণ মানুষ যেন খুব সাবধানতা অবলম্বন করে ভোট দিতে যান এবং সমস্ত করোনা বিধি মেনে চলেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতা দের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য হল আর জনসভা কিংবা র্যালির প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ এবার বিচার করবে। শেষে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন যে, নির্বাচন কমিশনের কাছে সমস্ত করোনা বিধি মেনে নির্বাচন করার ক্ষমতা আছে। তারা যেন সেরকম ভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন করে থাকে।
অন্যদিকে করো না নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা জানতে চাওয়া হলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সমস্ত দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন এর হাতে রয়েছে। হাই এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কথা শোনার পর প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদেরকে বলেছেন, আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে আদালতকে জানাতে হবে যে কেন নির্বাচন কমিশনকেই এখন সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে।