পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এমত অবস্থায় করোনার চেনকে ভাঙতে রীতিমত লক ডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। তবুও আজ সকালে তৃণমূলের চার নেতাকে নারদা কাণ্ডে সিবিআই তলব হওয়ারপর থেকেই নিজাম প্যালেস কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই পরিস্থিতিতে আইন ভাঙ্গার অপরাধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এফআইআর দায়ের করেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কামান দেগে বলেন যে, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে,” ওনার স্বভাব রয়েছে যেখানে সেখানে গিয়ে বসে পরার। অরাজকতা সৃষ্টি করার।”
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন “উনি গায়ের জোরে সবকিছু করার চেষ্টা করেন। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাবে। উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ওনার দায়িত্ব রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কিন্তু উনিই আইন ভাঙছেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন ?”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও বিধানসভা নির্বাচনকে তুলে ধরেন। দিলীপ ঘোষ বলেন যে, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তৃণমূলের সমর্থকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির আরও বক্তব্য হল যে, এই নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান “খেলা হবে” একটা প্রতিহিংসা পরায়ণ স্লোগান। এই স্লোগানের ওপর ভিত্তি করেই ভোটের পর জ্বলেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি এবং খুন হয়েছে কর্মী সমর্থকরা। এই কারণ গুলির ওপর ভিত্তি করেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন দিলীপ ঘোষ।