পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাটে চলল বোমাবাজি, খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। শুধু তাই নয়, সোমবার রাতে বোমাবাজি হামলায় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ায় শুরু হয় পাল্টা হামলা। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আগুনে পুড়ে মৃতের সংখ্যা ১২।
গতকাল সোমবার অগ্নিকাণ্ডে তিন জনের দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনী এবং আজ মঙ্গলবার আরও ৯ টি দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে তারা। তবে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মৃতদেহ মহিলাদের। রামপুরহাট এলাকাবাসী জানিয়েছে, রাতভর চলেছে বোমাবাজি। তৃণমূলের উপপ্রধান হত্যাকাণ্ডে এবার উত্তপ্ত রামপুরহাট। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বর্তমানে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
রামপুরহাটের বরশাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ছিলেন ভাদু শেখ। তবে তিনি একজন ব্যবসায়ীও ছিলেন। উপপ্রধান এর পাশাপাশি এলাকাবাসী তাকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও চিনতেন। তবে ভাদু শেখের খুনের পেছনে কী রহস্য রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তিনি কি রাজনীতির জন্য খুন হয়েছে? নাকি ব্যবসায়ীক দিক থেকে কোনো সত্রুতার কারণে খুন হয়েছেন ? অনুব্রতর গড়ে এই খুনের ঘটনা ঘিরেই রয়েছে ধোঁয়াশা। গোটা বিষয়টিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ের কাছে বসেছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু সেখ। সেই সময় তার উপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ভাদু শেখ এর উপর গুলি চালায়। কিন্তু তাতে কোন রকম কাজ না হওয়ায়, তার উপর বোমা মেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে উপপ্রধানকে রক্তাক্ত অবস্থায় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ভাদু শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।