শবনম এর ফাঁসি, প্রথম মহিলা ফাঁসি
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- ভারতে এই প্রথম স্বাধীনতার পর এক মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে। উত্তরপ্রদেশে কেবলমাত্র মথুরায় ফাঁসির ঘর রয়েছে। কাজেই সেখানেই প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু কেন এই মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হবে? কি অপরাধ তার? প্রশ্ন সবার মনে।

শবনম নামে মহিলাটি আমরোহা জেলার হাসানপুর নামক অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি বাবনেখেরি গ্রামের অধিবাসী। তার বাবা পেশায় শিক্ষক। শিক্ষাগত যোগ্যতায় ইংরেজি এবং ভূগোলে এমএ পাস করেছিল এই সুফি পরিবার অন্তর্ভুক্ত কন্যা। অবস্থার দিক থেকে যথেষ্ট সচ্ছল। সেলিম নামে এক স্থানীয় যুবকের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে শবনমের।

অপরদিকে সেলিম নামের যুবককে ক্লাস ফাইভ ফেল। দিনমজুর পেশা তার। এর ফলে শবনমের পরিবারের সদস্যরা কিছুতেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এরপর ২০০৮ সালের ১৪ ই এপ্রিল রাতে শবনম এবং প্রেমিক সেলিম, শবনমের মা বাবা এবং ১০ মাসের ভাইপোসহ পরিবারের সাতজনকে কুঠার দিয়ে শরীর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে।

এরপর বহুদিন আইনি মোকদ্দমা চলে। ফাঁসির সিদ্ধান্তের পুনঃবিবেচনার আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পাস হয়। শবনম-এর ফাঁসি মুকুব করা জন্য আবেদন গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাম কোবিন্দের কাছে। কিন্তু এই নির্মম হত্যার বিচারে তিনিও ফাঁসির আদেশ দেন।

আরও পড়ুনঃ- “ভাগ্যিস স্কুটি থেকে পড়ে যাননি দিদি, নাহলে স্কুটি তৈরির রাজ্যকে নিজের শত্রু বানিয়ে ফেলতেন” – নরেন্দ্র মোদি

মথুরায় মহিলাদের জন্য তৈরি ফাঁসি ঘরেই শবনম নামে ওই অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়া হবে। বহু বছর ধরে সেই ঘর ফাঁসির জন্য ব্যবহৃত হয়নি। এমনকি ফাঁসি কাঠের ব্যবহারও অনেক বছর ধরে হয়নি। কাজেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাপারটি চাপ সৃষ্টি করেছে। ঘরটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ১৫০ বছর আগে। কিন্তু সেখানে আগে কখনো ফাঁসি দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার শবনম নামে ওই অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়া হবে মথুরার ওই জেলে।