পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– পাকিস্তানের জন্য আবারও একটি বিব্রতকর অবস্থার তৈরি হল। পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসলামাবাদকে কাশ্মীর সমস্যা ভুলে গিয়ে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার জন্য ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে অকারণে “কান্নাকাটি” বন্ধ করতে পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলাটা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ এই দুই দেশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সৌদি আরব, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ।
মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-তে পাকিস্তান ক্রমাগত কাশ্মীর ইস্যু তুলে আসছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ গত সপ্তাহে কাশ্মীরের মতো অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই দুই দেশ এই মন্তব্য করলো। গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক আল আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলের সাথে একটি সাক্ষাতৎকারে শরীফ বলেছিলেন যে, পাকিস্তান ভারতের সাথে তিনটি যুদ্ধের ক নিঃস্ব হয়েছে। তারা এর থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যদি নিজেদের আসল সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারে তবে এখন থেকে পাকিস্তান ভারতের সাথে শান্তিতে থাকতে চায়।
তিনি বলেছেন, ভারতীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) কাছে পাকিস্তানের বার্তা হল, আসুন আমরা টেবিলে বসি এবং কাশ্মীরের মতো আমাদের জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গুরুতর ও আন্তরিক আলোচনা করি, যেখানে দিন দিন মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটছে। যদিও পরে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে যে ভারত কাশ্মীর নিয়ে ২০১৯ সালের পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করে আলোচনা সম্ভব নয়।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদ সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান আঘাত করার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক গুরুতর উত্তেজনার মধ্যে পড়ে। তারপর ভারত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার এবং পূর্ববর্তী রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা করার পরে আগস্ট ২০১৯ সালে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল। ভারত জোর দিয়ে বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ “ছিল, আছে এবং থাকবে”। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান তার নীতিগত অবস্থান থেকে সরে আসতে অস্বীকার করে।