দেহ ব্যাবসা, যৌনব্যাবসা, news, kolkata news
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পৃথিবীর সমস্ত মা বাবাই চায় তার সন্তানকে আগলে রাখার। সন্তান যেন সমাজের কোনো কুপ্রভাব বা বাঁকা পথে না হাটে তার জন্য কত কিছুই না করে থাকে বাবা-মা। সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হলো বাবা-মা।

আর সেই নিরাপদ আশ্রয় কখনও বিপদসংকুল হয়ে উঠতে পারে তা কখনও ভেবে দেখেছেন? নিজের বাবা-মা কখনো নিজের মেয়েকে দেহ ব্যবসায় নামাতে পারে? এমনই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হলো কলকাতার এক কিশোরী। নিজের কন্যা সন্তানকে দেহ ব্যবসায় নামালেন বাবা-মা।

সূত্রে খবর, ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকার। গোপন সূত্রে হরিদেবপুরে যৌন ব্যবসার সন্ধান পায় পুলিশ। ঘটনাটি সঠিক কিনা তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগ। লালবাজারের গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেন। তারই সঙ্গে আরো চারজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই যৌন ব্যবসা। উদ্ধার করা হয় এই ব্যবসার কবলে পড়া তিন নাবালিকা ও এক তরুণীকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারের গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পায়। দক্ষিণ কলকাতায় হরিদেবপুর থানা এলাকায় সন্তোষ রায় রোডের একটি বাড়ির মধ্যেই চালানো হচ্ছে দেহ ব্যবসা। সেই খবর পেয়ে হানা দেয় বাড়িটিতে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেখানে দেহ ব্যবসার কবলে পড়া তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করেন এবং জানতে পারেন দুই নাবালিকাকে অন্য জেলা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে কাজের উদ্দেশ্যে। এখানে এসে তাদেরকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছে। আর এক নাবালিকাকে তারই মা-বাবা দেহব্যবসায় নামাতে বাধ্য করেছে বলে জানিয়েছেন।

ওই কিশোরী জানায়, এই ব্যবসায় যুক্ত রয়েছে তার মা ও বাবা দুজনেই। বাবা মা এর চাপে পড়াশোনা ছেড়ে বাধ্য হই দেহ ব্যবসায় নামতে। দালালের মাধ্যমে নিয়ে আসা হতো খদ্দের।  এছাড়াও তনুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, কোনাল মন্ডল, অমল মন্ডল এবং দেবযানি সামন্ত নামে এই চারজন জড়িত ছিল এই ব্যবসায়। নাবালিকার মা-বাবা সহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা শুরু করেছে পুলিশ। এই ব্যবসায় আর কেউ জড়িত আছে কি, কতদূর এর গভীরতা তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।