পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ সদ্য ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়ে, বেড়েছে চিন্তা। কিভাবে সংসার চালাবো ? এলাকাবাসী কি আর কাজে নেবে ? নানা চিন্তায় জর্জরিত সদ্য ভোটে জেতা পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল মুর্মু।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ইছাপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সুনীল মুর্মুর। পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রি। গত কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া পৌরনির্বাচনে তিনি তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট যুদ্ধে তিনি জয়ী হন এবং তিনি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।
কিন্তু কাউন্সিলর হয়ে বড় দুশ্চিন্তায় তিনি। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, পেশায় আমি একজন রাজমিস্ত্রি। এছাড়াও এলাকাবাসী আমাকে চিনতেন তৃণমূলের সাধারন কর্মী হিসেবে। তিনি বলেন, “রাজমিস্ত্রির কাজ আমাকে করতেই হবে। নাহলে সংসার চলবে কী করে ? কাউন্সিলর হয়ে যাওয়ার পর এলাকার মানুষ কাজ দেবেন তো ?”
কাউন্সিলর সুনীল বাবু জানিয়েছেন, যখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর, তখন থেকেই তিনি জোগাড়ে কাজ করতেন। ধীরে ধীরে তিনি জোগাড়ে কাজ করা থেকে রাজমিস্ত্রি হয়েছেন। পেটের জ্বালায় কাজের খোঁজে ভিন রাজ্য গিয়েছেন তিনি। তবে বেশ কয়েক বছর হল তিনি নিজ এলাকায় কাজ করছেন। তবে তার মনে দুশ্চিন্তা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কাউন্সিলর হয়ে এলাকাবাসী তাকে কাজে ডাকবেন তো ? মাথায় শুধু একটাই চিন্তা।
পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সুনীল মুর্মুকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। ভোটের কয়েকটা দিনই কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। ভোটে জেতার পরের দিনই মেমারি শহরের বাইরে দুর্গা ডাঙ্গায় রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন সুনীল বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের আগে যেসব কাজের বায়না নিয়েছিলেন তিনি, সেই সকল কাজগুলিই এখন করছেন।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “ওয়ার্ডের মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি। কাজ খুঁজতে তো ভিন রাজ্যে যেতে পারব না। তাই শহরের কাছাকাছি এলাকার মধ্যেই কাজ করছি।” কাউন্সিলর সুনিল মূর্মুকে উল্লেখ করে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ধ্বনি, দরিদ্র সবাইকেই প্রার্থী করে।