laxmi bhandar, duare sarkar, mamata banerjee, লক্ষীর ভান্ডার, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
ব্যাপক প্রভাব ফেলছে "লক্ষীর ভান্ডার" প্রকল্প, মাত্র ২৩ দিনে এক কোটিরও বেশি আবেদন | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম এবার বাড়িতে বসেই পাবেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় ফিরে তিনি বাড়ির মহিলাদেরকে প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ১০০০ করে টাকা দেবেন। তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে তার কথা মতোই রাজ্যে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে যেটির নাম ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্প।

এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প বসবে। ঠিক তার কথা মতোই ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প শুরু হতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান রকমের অশান্তির ছবি উঠে আসছে। এর আগেও প্রতিটি গ্রামে একবার করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছে। তবে দ্বিতীয় বার অর্থাৎ চলতি মাসের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে নতুন প্রকল্প সংযোজন হয়েছে, তা হল ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্প।

laxmi bhandar, duare sarkar, mamata banerjee, লক্ষীর ভান্ডার, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
ছবি – সংগৃহীত

মহিলাদেরকে স্বনির্ভর করতে এই প্রকল্পের আওতায় এসসি (SC) ও এসটি (ST) ক্যাটাগরির মহিলাদেরকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদেরকে দেওয়া হবে ৫০০ টাকা।

এই ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম নিতে এবং জমা দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে প্রচুর পরিমাণে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এবার এই ভিড় কমাতে এবং মহিলাদের সমস্যা এড়াতে অভিনব পন্থা বের করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। এই প্রকল্পের ফর্ম এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

laxmi bhandar, duare sarkar, mamata banerjee, লক্ষীর ভান্ডার, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
ছবি – সংগৃহীত

তবে মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝির এমন উদ্যোগ কেন নিলেন ? জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ‘লক্ষীর ভান্ডার’ ফর্ম নিয়ে নানারকম জালিয়াতি প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, কোথাও কোথাও ফর্ম ফিলাপ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে টাকা। আবার কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে বচসায় জড়াচ্ছেন মহিলারা। শুরু হয়েছিল হাতাহাতির মতো পরিস্থিতি। যার কারণেই ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি।

আরও পড়ুনঃ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ানো হল বিধিনিষেধের সময়সীমা, জারি নাইট কারফিউ

laxmi bhandar, duare sarkar, mamata banerjee, লক্ষীর ভান্ডার, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
ছবি – সংগৃহীত

পূর্ণেন্দু মাঝি জানিয়েছেন, ‘মহিলারা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শীঘ্রই আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে আশা কর্মীদের সাহায্য নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।