পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড-এর ফাইনাল পরীক্ষা। অভিযোগ উঠেছে, ডিএলএড-এর প্রথম পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই পরীক্ষাকে নিয়ে একাধিক সাবধানতা বজায় রাখা হয়েছিল শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে ফাঁস হয়ে গেল ডিএলএড-এর প্রথম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের কিছুক্ষণ পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, পর্ষদের সকলেই বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে কাজ করছে। কিন্তু কেউ যদি চক্রান্ত করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়, তাহলে সেটা বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয়। তবে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে নজর রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ডিএলএড-এর প্রথম পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সময়মতো শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। কিন্তু ঘটনাটি তার আগেই ঘটে। এদিন সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নপত্রের ছবি ঘোরাফেরা করছিল। যেটি প্রকাশ করা হয়েছিল সকাল ১০ বেজে ৪৭ মিনিটে। এছাড়াও ওই প্রশ্নপত্রের উপর লেখা ছিল ‘ডিএলএড- পার্ট টু এক্সামিনেশন’।
প্রশ্ন উঠেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো প্রশ্নগুলি আদৌ কি ডিএলএড পরীক্ষায় ছিল? নির্ধারিত সময় মতো ১২টার সময় পরীক্ষা শুরু এবং দুপুর ২টোর সময় ডিএলএড পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা দাবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো প্রশ্নপত্রের সাথে এই পরীক্ষায় দেওয়া প্রশ্নপত্র মিলে গিয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে পর্ষদের। শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের দাবি, পর্ষদ এবং রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে বিকৃত করার উদ্দেশ্যেই এমন কার্য ঘটানো হয়েছে।