পশ্চিমবঙ্গ স্পোর্টস ডেস্কঃ- গতকাল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবের অপ্রত্যাশিত জয়ের পর ফের একটি এশিয়ান দল নজর কাড়ল ফুটবল বিশ্বের। বুধবার দোহার আল খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে আরো একটি অঘটন ঘটলো জাপান।
প্রথম ম্যাচেই জার্মানির রক্ষণভাগের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে জয় তুলে নিল জাপান। সামনে জার্মানির মতো ফুটবলের পাওয়ার হাউস থাকা সত্বেও গুটিয়ে পড়েনি জাপানের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমনাত্মক ভাবেই শুরু করেছিল জাপানিজ ফুটবলাররা। কিছুটা হলেও তাদের থেকে ধীরে শুরু করেছিল জার্মানি।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল থমাস মুলাররা। ম্যাচ শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই প্রথম কর্নারটি পেয়ে যায় জাপান। তার ৩ মিনিট পরে আবারো গোলের সুযোগ পেয়ে যায় তারা। গোল করেন জাপানের ফরওয়ার্ড মিয়েদা। যদিও এই গোলটি অফসাইডের এর জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়। জাপান খুব বিপদজনক আক্রমণ তুলে আনছিল বলেই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে শুরু করে দেয় জার্মানি। ধীরে ধীরে মাঝমাঠের আধিপত্য নিতে শুরু করে দিলেন হসুয়া কিমিচ এবং মুঁশিআলা। ক্রমশ জার্মান আক্রমণ বাড়তে থাকে জাপানের বক্সে এবং তাতেই প্রথম গোল করে তারা।
৩৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন গুন্ডয়ান। ১ – ০ গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় জার্মানরা। প্রথমার্ধে আরো প্রচুর সুযোগ পেয়েও গোলের ব্যবধানে বাড়াতে পারেনি জার্মান দল। গোলের সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তারাও সেগুলি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই আক্রমণাত্মক রূপ নেয় জার্মান দল। সারাক্ষণ বল ঘোরাফেরা করছিল জাপানের অর্ধে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গুন্ডয়ানের একটি দুর্দান্ত শট গোলপোস্টের লেগে ফিরে আসে। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বাজিমাত করে এশিয়ান ফুটবলের পাওয়ার হাউস জাপন।
৭৫ মিনিটের মাথায় জাপানের হয় প্রথম গোলটি করেন রিটসু ডোয়ান। জাপানকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন তিনি। খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনার পর জাপান আক্রমনে চাপ দিতে শুরু করে জার্মান অর্ধে। অন্যদিকে চাপে পড়ে যায় জার্মানরা। মুলাররা অনেক চেষ্টা করলেও গোলের মুখ কোনভাবেই খুলতে পারলেন না। বরং ৮৩ মিনিটে তাকুমা আসানোর গোলে ২ – ১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাপান। জাপানের দ্বিতীয় গোলের পরেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়ে ক্রমশ চাপে পড়ে গেল জার্মানি। এবার তাদেরকে পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে হলে পরের দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে হবে।