শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, বৈশাখী
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নারদা স্ট্রিং অপারেশনের মামলায় গতকাল কলকাতায় ৪ হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তারমধ্যে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিজাম প্যালেস-এ গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গতকাল রাতে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় ৪ হেভিওয়েট নেতাকে।

তবে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তিনি বারংবার সিবিঅআ অফিসার দের কাছে আবেদন করতে থাকেন যাতে, একটিবারের জন্যও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু কাকুতি-মিনতি করে কোনও প্রকার লাভ হয়নি।

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেলের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়ার পর তিনি কী করবেন বুঝে না উঠতে পেরে জেলের বাইরের দরজা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি এবং ভিতরে যাওয়ার জন্য দরজায় ধাক্কা ধাক্কিও করেন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে দেখা করতে না পারায় শেষমেষ চিৎকার করতে শুরু করেন বৈশাখী। উচ্চঃস্বরে তিনি বলেন, “একবার দেখতে দিন, ওষুধ টুকু খেতে দিন, ওর হাই সুগার। তবুও কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। অমানুষিক ব্যবহার করা হচ্ছে।”

এরপর তিনি সিবিআই অফিসারদেরকে নিশানায় নিয়ে বলেন, “আপনাদের কোন লজ্জা শরম নেই। আগে থেকে না জানিয়ে এক মহিলার বেডরুমে চারজন পুরুষ ঢুকে গেলেন ওকে ধরার জন্য। আর এখন বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।”

তবে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-কে। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনকে জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-কে। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

গতকাল সকালে নারদা কাণ্ডে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে মাঝ রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র।